গোলাপ দিবি?
তীব্র ক্ষুধায় যে গোলাপ মনে হবে শর্ষের শাক পাটা-পোতায় পিষে
ইষৎ লবন নাহয় দিয়ে নেবো আমিই!
তুই যেন নতুন করে লবন দিসনে!
নতুন লবন দিলে চোখের নোনা জলে সাগর মিশে যায়।
অবহেলার গুচ্ছ-গোলাপ নোনা ইলিশ হ’য়ে গেলে অতো বেশি
মোহময়ী স্বাদ সয় না !
গোলাপ দিবি?
হাতের মুঠোয় তোর যে কটা গোলাপ আঁটছে না,
কিম্বা যেগুলো বাসি-না হয় দিলি-ই!
মরা মরা হলে তুইতো ফেলেই দিবি! রাস্তায় পড়ে থাকা মৃত-মৃত
গোলাপের স্থান হবে পুরোনো ভাগার! আমিও তো পুরনো ভাগার!
শোন, আমাকে নাহয় কিছু ছুঁড়ে দিয়ে যা!
ঘৃণা, অপমান, অপবাদ: যা পারিস! তারপরও, কেন যেনে
লাল কিছু গোলাপের লোভে ঘুমগুলো রোজ-রোজ বাসি হয়;
তোর খোঁজে মোহনায় ফিরি, তোর খোঁঁজে ফিরি মোহনায়…
আর কতো ভিক্ষুক হবো, আর কতো ভিক্ষুক হবো?
নিমিষে বিলুপ্ত হবে মোহনার কাদা, আর কতোবার?
জানি, খুব স্রোতে ভেসে যাওয়া সুখ ফেরতের যোগ্য নয়;
তবু গোলাপের শুকনো পাপড়িগুলো রেখে দেবো হৃদয়ের ডোরে!
দিবি, দিবি তুই, পাঁপড়ি কতোক? হৃদয়টা শুকোবার আগে, একবার
একবার মন ভড়ে দেখে নেবো সুখ
কানো এক কাক ডাকা ভোরে, অজপা জন্মের আগে!
No Comments