চলে গেছে সবাই- সব্বাই!
তুই কেন আর বসে? তুইও যা না!
দেখ, আমায় যদি ছুঁয়েও দিস পুণ্য হবে না।
গা আমার উল্টো ডুমুর পাতা:
বড্ড বেশি রুঢ়, বড্ড খসখসে।
পেলবতায় ছাই দিয়ে তুই সাধবি কি নীলকণ্ঠ?
ছিঁড়লে পাবি কষ, ছিঁড়লে পাবি আঁঠা!
থাকবি তবু? থাকবি?
মাখবি গায়ে অস্তাচলের ছোঁয়া?
তোর বুকে নাহ্ বড্ড বেশি মায়া!
বুকের ওমে লুকোয় যে জন,
আমি তো সেই সভ্য প্রেমিক নই!
হয়তো তোকেই মন্দ বলে দিলাম!
হয়তো কোনো তুচ্ছ কালো রাতে হঠাৎ করে
শ্মশান জেগে গেল!
সেই আগুনে মরবি তো তুই পুড়ে?
সবাই কি আর মরতে জানে!
সবাই কি আর জোনাক পোকা হয়!
কেন নিবি এমন জীবন বেছে?
কেন নিবি এমন মরণপণ!
নিবিড়ভাবে আগুনকে আর কেইবা ভালোবাসে;
নিবিড়ভাবে চৈত্র ক্ষরায় কেইবা ঘামে ভাসে?
সবাই গেল, তুইও যা না!
খুঁজছে লোকে জোনাক পোকার হুল-
তোকেও দেবে রোষ অনলের জ্বালা!
এমন যে জন চৈত্র হয়ে যায়,
চৈত্র চোখে চোখে-
তাকে কি আর বাসতে আছে ভালো!
তাঁর পিরিতের ছায়া ছোঁয়াও মানা!
তুইও যা নাহ্! পালিয়ে বাঁচ।
এছাড়াও দেখুন: খোলা চিঠি
No Comments