এমন অসহায় কখনও লাগেনি আগে!
কেন অনুভব বন্ধনে বাঁধে? আমি কেন অস্থিরতায় মরি?
আমার প্রেমিকারা টেবিলের এক কোণে চুপচাপ বসে ছিলো।
কত রাত র্নিঘুম কাটিয়েছি হাতে নিয়ে প্রেমিকার বাড়ানো দু’হাত।
রাতভর ব্যবচ্ছেদ শেষেও ভোর-ভোর অনেকেই এসেছিলো ।
আজ কেন ও সকল লাগছে না ভালো?
প্রেমিকার ফুরোয়নি রস।
কথা ফুরোলে আর কেউ বলুক নাহয়…
কতদিনের ক্ষুধার্ত দেখেছো তুমি সাত দশ ত্রিশ…
দিনের, মাসের, বছরের, শতাব্দীর…
খেতে দিলে ওরা খাবারের দিকে তাকিয়ে কাঁদে,
কাঁদে কেন জানো, বহুদিনের না পাওয়া চোখ উছ্লায়।
কিছুক্ষণ পর খেতে খেতে না খেয়েই কোঁচড়ে বাঁধে,
কেন বাঁধে জানো?
কোনো মন যদি অভুক্ত থাকে, তাকে তুমি কেন দিলে স্থান?
কেন তাকে প্রশান্তি ছুঁলো?
ধরে রাখবো এমন সাধ্য নেই
যেতে দেবো না এমন ক্ষমতা নেই।
শতবর্ষের ক্ষুধার্তের মতোন তাকিয়ে থাকার অবকাশ
চলে গেলো, কোঁচড়ে বাঁধা তো হলো না কিছুই!
চলবে আগামী দিনও, অসহনীয় এ অসহায়তায় ভর করে!
হায়! এমন অসহায়, কখনও লাগেনি আগে।
আরো পড়ুন: মুক্তি
No Comments