অমলটা কবি বলে, তাকে আজ আসতে বারণ করে দিলাম।
ওর বলা কথার বেশিরভাগই বুঝি না আমি। ওর লেখা
কবিতার মতো মানুষেরও নাকি নানান পরিচয়! বক্তব্যেও
নাকি আছে কবিতার মতো দ্যোতনা, ব্যঞ্জনা, গভীরতা
এইসব হাবিজাবি! দায় ঠেকেছে!
অভিধান খুলে, তোর লেখা কবিতাগুলো বুঝতে।
বোধ-টোধ, হিজিবিজি কী-কী নাকি আছে কবিতায়!
কবিতা নামের এক ক্লাসমেট ছিল, একই রকম
ভূত ছিল ওর-ও মাথায়। ভূত পেত্নীরা
রাত-বিরেতে কবিতা লিখবি- লেখনা-রে বাবা!
অত কেন জ্বালাচ্ছিস অবেলায়, অসময়ে?
সকল সহজ কথা
আমি জানি, বুঝতেও পারি।
আমি ভাত খাই, সে ঘুমায়, এখন সময় নেই,
পরে না হয় আসিস কখনো: এইসব। এসকল
আমি সহজেই বুঝি। ও বলল,
‘ভাত মানে নাকি ভাত নয়; অধিকার।’ ও বললো,
‘ঘুম নাকি অসচেতনতার প্রতীক হতে পারে;
কখনো কখনো মৃত্যুও মনে হতে পারে।
পরে কখনো আসা নাকি বিদায়ও হয়
অথবা সময় বাকি নেই প্রতিটি জীবিত প্রাণীর।’
তাড়া-টা কিসের রে অমল; কি এমন জ্বালাটা তোদের?
সকলেরই নাকি ফুরোচ্ছে অমূল্য সময়! আবার,
অনন্ত এ সময় কারো নাকি ফুরোয় না!
আইনস্টাইন, আপনার থিওরি অফ রিলেটিভিটি তো
পড়েছি আমিও? কবি অমল কী-বুঝে পাগল হলো?
আরো জানুন: কবিতা লে লো কবিতা
No Comments