কবি অমল, কী-বুঝে পাগল হলো

সকল কবিতা By 6 months ago No Comments
5
(1)

অমলটা কবি বলে, তাকে আজ আসতে বারণ করে দিলাম।
ওর বলা কথার বেশিরভাগই বুঝি না আমি। ওর লেখা
কবিতার মতো মানুষেরও নাকি নানান পরিচয়! বক্তব্যেও
নাকি আছে কবিতার মতো দ্যোতনা, ব্যঞ্জনা, গভীরতা
এইসব হাবিজাবি! দায় ঠেকেছে!
অভিধান খুলে, তোর লেখা কবিতাগুলো বুঝতে।
বোধ-টোধ, হিজিবিজি কী-কী নাকি আছে কবিতায়!

কবিতা নামের এক ক্লাসমেট ছিল, একই রকম
ভূত ছিল ওর-ও মাথায়। ভূত পেত্নীরা
রাত-বিরেতে কবিতা লিখবি- লেখনা-রে বাবা!
অত কেন জ্বালাচ্ছিস অবেলায়, অসময়ে?
সকল সহজ কথা
আমি জানি, বুঝতেও পারি।
আমি ভাত খাই, সে ঘুমায়, এখন সময় নেই,
পরে না হয় আসিস কখনো: এইসব। এসকল
আমি সহজেই বুঝি। ও বলল,
‘ভাত মানে নাকি ভাত নয়; অধিকার।’ ও বললো,
‘ঘুম নাকি অসচেতনতার প্রতীক হতে পারে;
কখনো কখনো মৃত্যুও মনে হতে পারে।
পরে কখনো আসা নাকি বিদায়ও হয়
অথবা সময় বাকি নেই প্রতিটি জীবিত প্রাণীর।’

তাড়া-টা কিসের রে অমল; কি এমন জ্বালাটা তোদের?
সকলেরই নাকি ফুরোচ্ছে অমূল্য সময়! আবার,
অনন্ত এ সময় কারো নাকি ফুরোয় না!
আইনস্টাইন, আপনার থিওরি অফ রিলেটিভিটি তো
পড়েছি আমিও? কবি অমল কী-বুঝে পাগল হলো?

আরো জানুন: কবিতা লে লো কবিতা

বিজ্ঞাপন

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 5 / 5. Vote count: 1

No votes so far! Be the first to rate this post.

Author

তন্ময় সাহা(১৯৮৩)–জন্ম বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে খ্যাত কুষ্টিয়া জেলায়, কুষ্টিয়ায় বেড়ে ওঠা, শৈশব কেটেছে, কৈশোরেও তার কুষ্টিয়া আর গড়াই নদীর মাখামাখি। তারপর লেখাপড়া ও কর্মসূত্রে বহুদিন ধরে খুলনায় বসবাস। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি এন্ড জিনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক, বায়োটেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা হতে। এরপর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সিকিউটিভ এমবিএ (এইচ আর এম) সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও তিনি ‘দি ফ্লেচার স্কুল অফ ল’ এন্ড ডিপ্লোম্যাসি; টাফ্ট ইউনিভার্সিটি কর্তৃক ডিজিটাল ফিন্যান্স প্যাকটিশনার হিসাবে সনদপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি উপপরিচালক হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক, খুলনায় কর্মরত আছেন। লেখালিখি চলেছে বিক্ষিপ্তভাবে, শখে, আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হলে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যুক্ত ছিলেন নাট্যদল ‘থিয়েটার নিপূণ’ এবং বিজ্ঞান পত্রিকা ‘বায়োটকের’ সাথে। বই, বাংলা সাহিত্য হলো তার ভালোবাসা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া প্রতিযোগীতায় স্কুল পর্যায়ে পাওয়া সার্টিফিকেট আর উপহারে পাওয়া বইগুলোকে আজও অতি যত্নে রেখেছেন, নিজস্ব বুকসেলফে। মুলতঃ কবিতা লেখার শখ, টুকটাক গদ্য লেখারও চেষ্টা চলে। বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত কবিতাগুলি সহ সোস্যালমিডিয়া, টুকরো কাগজ আর ডাইরিগুলোর পাতা থেকে অদুর অতীতে লেখা নিজের পছন্দের বেশ কিছু কবিতা মলাটবন্দী করে, আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন হোরাসের চোখ, বিবিধ ঘোড়সওয়ার ও কালো মেম কাব্যগ্রন্থে।

No Comments

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!