দিনাতিপাতের নিয়ম আছে!
পাছে, পথ ফুরোয় সেই ভয়ে হাঁটি না;
হাঁটি না সে অনেক দিন। না হেঁটে
শুয়ে বসে– অতিরিক্ত অধঃপাতে গেছে দিন;
বকে দিতে হবে।
ওকে পরশু বকে দেবো, আজ না ছুটির জন্মদিন!
অফুরন্ত অনন্ত ছুটি একে একে সময় ও
ব্যস্ততা কেড়ে নেবে; সুখতন্দ্রায় যাবো।
অনিদ্রায় সুখ আছে ? সে সুখ তো
হলো না খোঁজা। বোঝা হয়ে আছে– কথা;
সকলেরই উগড়ে দিতে হবে,
শ্রোতা হতে জন্মেনি কেউ?
নদী–শব্দ করে, পাখি–কিচিরমিচির,
বাতাসের মৈথুন– শন শন…।
দিনাতিপাত–নিঃশব্দচারী হয়ে, কামতৃষ্ণা নিয়ে?
ব্রহ্মচারীর কামতৃষ্ণা থাকে না,
আমি যদি ব্রহ্মচারীর হতাম!
এমন-আমি মধ্যে-মধ্যে ঝুলে, মধ্যে-মধ্যে ভাবনায়,
মধ্যে-মধ্যে মনের মধ্যে অনুভব করি
অস্তিত্বের দ্বিতন। একমনে বলি কথা।
লোকালয়ে সকলের মাঝে বসে
অনুভব করি প্রগাঢ় একাকিত্ব।
একা মরু সাগরে…
এওতো সুখ, মেনে নাও বলি স্বত্তারে!
দিনাতিপাতের কি কোনো নিদৃষ্ট নিয়ম আছে ? আছে ?
No Comments