ভালোবাসার বিবাগী কবিতাগুলো যথেষ্ট বিরক্তিকর।
অথচ বিবাগ
হাজার বছর ধরে কানে কানে অযথাই
ঘ্যান ঘ্যান-প্যান প্যান করেই যাচ্ছে-করেই যাচ্ছে!
কেউ হারিয়ে যাচ্ছে, কেউ ডুবে যাচ্ছে, কেউ ভুলে যাচ্ছে,
ভালোবেসে কেউই নাকি পাচ্ছে না কিছুই!
এই যে নরেনরা বারো জন: ভাই-বোন সকলেই
ছেঁড়া কাঁথা মুড়ি দিয়ে একাত্মা, এমনকি ঠাকুরদা’ও
উত্তর প্রজন্মের জম্পেশ স্বপ্নটা দেখেছিলেন,
মা-মা বলে যখন
ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠেছিলো শিশু,
সন্তানের মুখচুম্বন করেছিলেন একজন অর্ধশিক্ষিতা নারী,
তেত্রিশ বছর ধরে
বারুদে ঠোকাঠুকির পর ভেঙে যাওয়া শাঁখার দিকে চেয়ে
অপলাও ডুকরে কেঁদেছিলো,
নিতান্ত বখাটেটাও নতমুখে
পিতৃশ্রাদ্ধে, তর্পণে শান্তি-ই খুঁজেছিলো:
এইসব ভালোবাসা নয়?
নাকি স্বেচ্ছায় কেউ-ই পেলো না কিছু?
ভিটে মাটি, নদী বা গাঙর বুকে প্রজন্ম হতে
প্রজন্মান্তরে বয়ে চলা ‘বিবাগের ঢেউ’ দেখেছ কি কেউ!
একা-মানুষ আর কতটুকুইবা খায়!
No Comments