ভয় কণ্ঠস্থ করেও, চারদিক দেখে নিলাম আমি।
দু’জন পাহারাদার শিকলের মতো আঁকড়ে আছে– আমার হাত,
“মহামান্য রাজা, এখানে আমাকে ধরে আনা– কেন?”
আচমকা সামনের সিংহাসন থেকে সিংহের আওয়াজ ভেসে এলো।
“চোপড়ও–এখন তুমি মৃত, অতএব তোমার বিচার হবেই।”
আমার চোখে, তখন ছিল বিস্ময়–
“বিচার! কোন অপরাধের? অভিযুক্ত, আমি!”
“সেটা জানতেই তোমাকে আনা হয়েছে।
যদিও সব খবরই প্রধান হিসাব রক্ষক লিখে রেখেছেন।
তবু একবার তোমার মুখ থেকেও শুনতে চাই আমি।”
“আপনি যখন সবই জানেন … ”
“কিছু ভুল বলো কিনা অথবা কিছু লুকাচ্ছো কিনা– এটাই নিয়ম।”
পাহাড়াদারেরা হাতদুটো আঁকড়ে ধরেছিল, ক্রোধে।
“আপনার প্রহরীগুলো বেয়ারা, দেখুন– শেকল হয়ে আছে।
চাইলেই কি পালানো যায়, তা ছাড়া আমি নাকি মৃত!”
“প্রসঙ্গ মাফিক কথা বলো, যুবক।”
“কী কথা? আমার তা কিছুই মনে পড়ছে না।”
“তোমার ইহকালের অপকর্ম এবং সুকর্মগুলো নিয়ে কিছু বলো।”
“সুকাজ, কুকাজ, কর্ম, অপকর্ম, ইতিহাস! হোঃ হোঃ হোঃ”
“হাসার কথা তো নয়, তুমি মৃত একথা কি তুমি অস্বীকার করতে পারবে?”
“কী যায় আসে, যখন আমি নিজেকে, মৃত বলে বিশ্বাস-ই করি না।”
“আটকে রাখো, দিও না খাবার– নিয়ম ভঙ্গের এ আসামীকে।
শৃঙ্খলটা শক্ত, গরম ও লোহার হোক।
ততোক্ষণ লেলিহান লোহার সেঁক দাও কপালে, যতোক্ষণ না
ও নিজেকে মৃত বলে স্বীকার করে। এবং তুই
মৃত্যু এলেও, মরবি না; যা তোকে আজ দৈহিক অমরত্ব দিলাম !”
আরো জানুন: মিশকালো দুঃখ নিশান
No Comments