অনেক শবের পর কবিতা স্নাতক। মানিক সে
হারানো কবির। ভরা পূর্ণিমায় আলোকিত সোনালি চাদর-
আভরণে অমানিশা ঢেকে যায়। থামে না বিজয়,
যদিও ভরপুর শূন্যতায় পায়ে পায়ে শব হাঁটে।
প্রভাত ফেরির গান একদিন দূরে ভেসে যায়-
উঁচু উঁচু পথও ডিঙোয়, যত উঁচু নয় হিমালয়। নিষ্প্রাণ,
মরণ সাগরে ডুবে কখনোই ফেননিভ
হয়ে ওঠা হয় না।
কখনোই উত্তাল হয়ে ওঠা হয় না শবের।
স্রোত সে তবু। সময়ের হাত ধরে ভাগ্য প্রদীপ
যার ঘরে জ্বলে, আর যাই হোক শব সে নয়।
যে সৈনিক শত পরাজিতের হাত ধরে আছে,
বিজয় কি পারেনি সে ছুঁতে? পায়ে পায়ে চলা মেঠো পথে
বিজয়ের ঘ্রাণ আজো ভাসে-
তরবারি! ঝান্ডা! এ বিজয় সে বিজয় নয়।
কখনো লুটানো দেহে লেখা হয় শোকগাথা,
গাথাগুলো গাওয়া হয় শত শত বছরের পর;
শহীদের নাম জানা থাকে না। সে গাথা
যে গেয়েছে প্রথম, লোকে তাকে ভুলে গেছে।
সুর আর ছন্দেও স্থান নেই। যদিও
কুশলীর শব জানে না, ‘কেন সে বীর, কেনইবা পরাজিত
বলা হল তাকে?’ পদানত শির, তাই তার সে মুকুট
এখন যে কোথায়, কার মাথায়, জানে না সে।
একদিন এ দৃশ্যেও কেউ কেউ রং দেয়।
এ ইতিহাস নিয়ে কেউ কেউ কবিতাও লেখে।
চিত্রণে চিত্রণে ভরে দেয়াল; অনেকের প্রেরণাও নাকি হয়!
কারো কারো কাছে সে অজড়, কারো কাছে মৃৃত।
বরাবরের মতো চোখা চোখা তীরগুলো চোখাচোখি করে।
সে তোরণে অজস্র জনতার ভীড়।
এছাড়াও দেখুন: সে কি চাট্টিখানি কথা
No Comments