ওদের কাছে পথিকৃৎ বলে কিছুই হয় না।
এই যেমন: আজ কাউকে মাথায় চাপিয়ে নাচাগানা হলো
তো কাল তার গুষ্টির সন্তুষ্টি! এমনকি
পিন্ডিগুলো যারা যারা চটকাচ্ছে এও তারা জানে, ‘একদিন
বজ্রপাতের মতো-সত্যকে মোছবার চেষ্টায়
যে সকল কৎসরত তারা করছে: ওতে কুলোবে না।’
সময়ের হাসপাতালে: বিল, গমের রুটির জন্য
এবং ডোমের পয়সা দিতেও
করুণা ভিক্ষাতো ইতঃপূর্বে অনেকেই চেয়েছে!
অপরদিকে, আমার দেখা ঢের বেশী সৎ মানুষ
রেসের ঘোড়ার মতো লাথি খেতে খেতে
বাজারের থলে হাতে প্রাণপনে দৌড়াচ্ছে।
পড়ে পড়ে পচে যাচ্ছে অপূর্ব শরীর। অথচ,
কেউই তাদের কল্যাণে সালাম/ আদাব/ নমস্কার দিচ্ছে না।
অতঃপর
আরও নির্লিপ্ত, আরও নিভৃতচারী, মুলত দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর,
নির্জীব থেকে প্রাণহীন হয়ে
ক্রমশঃ কুঁকড়ে কেঁচো হতে হতে, আলো ও বাতাস ভুলে
আজ তারা অ্যালবিনো কেঁচো।
বস্তুতঃ, কষে কড়কে দেয়াতেই যাদের বাহাদুরি
এ যামানায় তারাই তো যথার্থ পথিকৃৎ, ভায়া! কলিকাল
এভাবেই ধন্য করো, হে অসামান্য এবং অযথার্থ অসামান্যরা!
No Comments