খেতে বসলেই, বাচ্চাদের আব্দারের শেষ থাকে না।
সাধারণত বাচ্চাদের মধ্যে সেই বাচ্চাটাই
মুরগীর মগজটা, কলিজাটা খাওয়ার বায়না ধরে,
যেটা খুব ভালো করেই জানে,
আজ মগজ কী কলিজা কোনোটাই রান্না হয়নি।
-মগজ কই, মগজ খাবো।
-মগজ নেই, মগজ ফ্রিজে।
বাচ্চারা শুধু মগজ খায়।
বড়রা মাথা মগজ একসাথে খায়।
বাচ্চারা শক্ত হাড় চিবাতে পারে না,
বড়রা শক্ত হাড় অনায়াসে চিবাতে পারেন।
-না আ আ, মগজ খাবো, মগজ ফ্রিজেই থাকে কেন?
-মগজ ফ্রিজেই থাকে, তুমি তো জানোই সোনাবাবু!
-কলিজা কই?
-নেই, সব মোরগ-মুরগীর কলিজা থাকে? থাকে না, বাবু।
সব মোরগ মুরগীর মাথাও থাকে না,
কলিজাও হয় না, যদি হয়ও সেগুলো খুবই ছোট ছোট হয়।
ওদের চামড়া হয় কসাই এর দোকানে রেখে আসা হয়,
না হলে ফ্রিজে রাখা হয়।
অনেকের চামড়া একত্র হলে, একসাথে খাওয়া হবে বলে।
ছোলার ডাল দিয়ে
গুটিয়ে নেয়া চামড়া, ছোট ছোট কলিজা, কাটা মাথাগুলো
তখন আর মন্দ লাগে না খেতে।
আরও পড়ুন – >>> পূর্ণ সত্য
No Comments