কাঁদছিস? কেন তোর চোখভরা জল,
অবেলায় কেন, ভেজা চোখ রোদ্রে শুকাস?
যে চোখে স্বপ্নেরা থাকে সেই চোখে মৃত্যু আদল,
অকারণ কেনইবা খুঁজিস,
কেনোইবা কাঁদবে সে চোখ! কেনইবা কাঁদাবি তুই?
দেখ, অনেকেই বেঁচে আছে পিছুটান ছাড়া।
অনেকেই বেঁচে আছে লাশ কাঁধে করে।
তোর মতো কলসি কি দড়ি দেখেশুনে কিনতে,
হাঁটে তারা ছোটে না। তোর মতো লাশ তারা নয়।
তোর এই বেছে নেয়া স্বেচ্ছামৃত্যু দিনে
আজ তোকে বহুদিন পর রাগাতে এলাম।
অখিলেশ, তোর নাকি কেউ নেই?
কে তুই আমার কীভাবে বোঝাবো তোকে?
ওরা কারা যারা আজ জীবনের পথ চেয়ে আছে,
ওরাও তোরই মত নশ্বর পৃথিবীর মাঝে নীতিহীন
জগতেই বাঁচে। শতভাগ পর দুনিয়াতে
কীভাবে বোঝাবো, তোরও আপন কেউ আছে!
কারো কারো অতোটা আপন কেউ না হলেও চলে!
যার যার হাতের পরশে গলা ছাপিয়ে, হৃৎপিণ্ডের
কোটর ভেদ করে কান্না ওঠে- কে তাদের
ছেড়ে যেতে বলে? ঠিক ওরা বাড়ির বিছানায়
ঘুমাবে আরো বহুদিন। তুই কেন অকারণ ছাই হবি?
প্রাণ তোর কেন কাঁদে না, কেন প্রিয় প্রাণ ভুলে যাবি?
জগতের দ্বারে মৃত লাশ অসহায়!
বল মরে যেয়ে কোন তারা হবি! সবাইকে,
অপয়া তারার দিকে তাকাতে বারণ করে দেবো।
এছাড়াও দেখুন: পৃথিবী গর্ভে
No Comments