অবশেষে মাছের চোখে পর্দা জুটেছে এবার
লাল সাদা কমলা হলুদিয়া যে কোনো রঙের পাড়ে
বিবর্ণ অথবা উজ্জ্বল, টিমটিমে ফ্যাকাশে
অবশেষে তবু যে জুটলো, এইতো অনেক!
সুন্দর খোঁজার শেষ নেই এই মৎস যুবার।
কোনো কোনো বইমেলার ভিড়ে, রেলস্টেশনে
বাস স্টপেজে, দোকানে দোকানে রসের শপিংয়ে।
রূপগুণ হয়ে যায় টলমল জল, আঁজল খানেক
পান করে বুকফাটা তৃষ্ণায় মৎস যুবক।
চোখে তার কোনোটি সুন্দর, কোনোটি নজরকাড়া
হোক ধার করা বনলতা অথবা উপমিত তার নিজস্ব উপমায়,
সবকিছু মিলেমিশে সুন্দর, কেউ যদি অমানিশা
চোখ ভরে দেখে নেয়, নিক-
ডানপাশে শূণ্যে একটি বক উড়ছে কেবল,
সুন্দর মুখশ্রী, কালো চুল, সুশ্রী,
সে কি একমনে তার হতে পারে?
জমির দলিল দিয়ে জমি চেনা যায়,
কী করে চিনবে বলো নারীর হৃদয়!
সে তো সাগরের মতো, অতো জল, মাপতে জানে না কেউ।
কোন মাটি দিয়ে করবে ভরাট ? যদি প্রশ্ন করো,
বলে দেব, তুমি কি ওদের চোখ দেখোনি।
সে না হয় ভালোই হলো; চোখটা মাছের !
অলিগলি ঘুরে এসে
চোখ এবার আসবে যে ইস্টেশনে, এ লজ্জা তার!
দেখেছে মাছের চোখ অন্য মাদকতা।
মাছের নয়ন ! কিশোরের, যুবকের,
নারীরও তা হতে পারে।রূপ, রস, গন্ধ
তোলপাড় করে অবশেষে মাছের চোখে পর্দা জুটেছে এবার !
আরও পড়ুন – >>> অবসরে যেমন ছিলাম
No Comments