অবশেষে মাছের চোখে…

সকল কবিতা By 11 months ago No Comments
0
(0)

অবশেষে মাছের চোখে পর্দা জুটেছে এবার
লাল সাদা কমলা হলুদিয়া যে কোনো রঙের পাড়ে
বিবর্ণ অথবা উজ্জ্বল, টিমটিমে ফ্যাকাশে
অবশেষে তবু যে জুটলো, এইতো অনেক!

সুন্দর খোঁজার শেষ নেই এই মৎস যুবার।
কোনো কোনো বইমেলার ভিড়ে, রেলস্টেশনে
বাস স্টপেজে, দোকানে দোকানে রসের শপিংয়ে।
রূপগুণ হয়ে যায় টলমল জল, আঁজল খানেক
পান করে বুকফাটা তৃষ্ণায় মৎস যুবক।

চোখে তার কোনোটি সুন্দর, কোনোটি নজরকাড়া
হোক ধার করা বনলতা অথবা উপমিত তার নিজস্ব উপমায়,
সবকিছু মিলেমিশে সুন্দর, কেউ যদি অমানিশা
চোখ ভরে দেখে নেয়, নিক-

ডানপাশে শূণ্যে একটি বক উড়ছে কেবল,
সুন্দর মুখশ্রী, কালো চুল, সুশ্রী,
সে কি একমনে তার হতে পারে?
জমির দলিল দিয়ে জমি চেনা যায়,
কী করে চিনবে বলো নারীর হৃদয়!
সে তো সাগরের মতো, অতো জল, মাপতে জানে না কেউ।
কোন মাটি দিয়ে করবে ভরাট ? যদি প্রশ্ন করো,
বলে দেব, তুমি কি ওদের চোখ দেখোনি।

সে না হয় ভালোই হলো; চোখটা মাছের !
অলিগলি ঘুরে এসে
চোখ এবার আসবে যে ইস্টেশনে, এ লজ্জা তার!

দেখেছে মাছের চোখ অন্য মাদকতা।
মাছের নয়ন ! কিশোরের, যুবকের,
নারীরও তা হতে পারে।রূপ, রস, গন্ধ
তোলপাড় করে অবশেষে মাছের চোখে পর্দা জুটেছে এবার !

আরও পড়ুন – >>> অবসরে যেমন ছিলাম

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.

Author

তন্ময় সাহা(১৯৮৩)–জন্ম বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে খ্যাত কুষ্টিয়া জেলায়, কুষ্টিয়ায় বেড়ে ওঠা, শৈশব কেটেছে, কৈশোরেও তার কুষ্টিয়া আর গড়াই নদীর মাখামাখি। তারপর লেখাপড়া ও কর্মসূত্রে বহুদিন ধরে খুলনায় বসবাস। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি এন্ড জিনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক, বায়োটেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা হতে। এরপর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সিকিউটিভ এমবিএ (এইচ আর এম) সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও তিনি ‘দি ফ্লেচার স্কুল অফ ল’ এন্ড ডিপ্লোম্যাসি; টাফ্ট ইউনিভার্সিটি কর্তৃক ডিজিটাল ফিন্যান্স প্যাকটিশনার হিসাবে সনদপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি উপপরিচালক হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক, খুলনায় কর্মরত আছেন। লেখালিখি চলেছে বিক্ষিপ্তভাবে, শখে, আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হলে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যুক্ত ছিলেন নাট্যদল ‘থিয়েটার নিপূণ’ এবং বিজ্ঞান পত্রিকা ‘বায়োটকের’ সাথে। বই, বাংলা সাহিত্য হলো তার ভালোবাসা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া প্রতিযোগীতায় স্কুল পর্যায়ে পাওয়া সার্টিফিকেট আর উপহারে পাওয়া বইগুলোকে আজও অতি যত্নে রেখেছেন, নিজস্ব বুকসেলফে। মুলতঃ কবিতা লেখার শখ, টুকটাক গদ্য লেখারও চেষ্টা চলে। বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত কবিতাগুলি সহ সোস্যালমিডিয়া, টুকরো কাগজ আর ডাইরিগুলোর পাতা থেকে অদুর অতীতে লেখা নিজের পছন্দের বেশ কিছু কবিতা মলাটবন্দী করে, আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন হোরাসের চোখ, বিবিধ ঘোড়সওয়ার ও কালো মেম কাব্যগ্রন্থে।

No Comments

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!