টুকরো স্বপ্ন জুঁড়ে অনাহুত মেঘ ভেসে এলো।
কখনো কি এমন আঁষাঢ় দেখেছি আমি,
দেখেছি কি উন্মুখ আঁধারের রূপ?
এক ফালি যৌবন কেঁদে গেলো সময়ের পায়ে ধরে,
বিলোতে বিলোতে শেষে তুলে রাখা অন্নভোগ
খেয়ে গেলো শেয়াল কুকরে।
আমি কি পেয়েছি সেই আগ্রহী সুখ?
জীবনটা হয়ে গেছে আটপৌরে শাড়ি,
আনকোরা শাড়ি চাই কিনা
কই কখনো তো করোনি জিজ্ঞাসা?
তেমন কোনো ভালোলাগা দোলায় না, ইদানীং।
বসন্ত আগেও আসতো যেমন, আজও তেমনই আসে।
হৃদয়ে শুনি না নতুন কবিতা কোনো, উপমায় বর্ণিল।
এমন জীবনে, রমণীরা ডোবে না।
এক তোড়া গোলাপ চেয়ে ছিলো হৃদয়ের দিকে,
খোঁচায় খোঁচায় রক্তাক্ত হবার পর,
ইদানীং মরেছে যুবক।
যবনিকা শেষে পড়েছিলো হাততালি।
এ কালিমা নিয়েছি এঁকে আমার ললাট লেখায়।
এক বুক ঘৃণা স্রোত,
বুকে নিয়ে বহে প্রেমধারা।
কই তার দুঃখে কেঁদে কেঁদে কখনো তো করোনি জিজ্ঞাসা,
নতুন কি প্রত্যাশা তোমার, নতুন কি সুপ্ত চেতনা
মাথার কুঠুরিতে দিচ্ছে অ্যালার্ম?
কৌটো কৌটো দুঃখ থেকে এক চিলতে অবসর-
অবসর, আমি আর কোথায় পেলাম?
আরও পড়ুন – >>> তুমি কি কখনো দেখেছো
No Comments