এই বিবর্ণতার সমীপে আমি কোন প্রশ্ন রাখিনা।
চটে গেলে রঙ প্রশ্ন করি না আর। খুব জানি ওরকম হয়।
বর্ণনাময় আয়েশী ঋতুর যে সকল কালো জামা
সহসা-ই গায়ে ওঠে না,
সেগুলোও চোখে-মুখে
কালচে দাগের রুপে কখনওবা সাদাটে ইষৎ
বলিরেখা আড়ষ্ট আজ, লেপ্টে কুঁচকে আছে।
কী এমন ঝড় আছে
কখনো ছোঁবে না বলে বড়াই-বা করা চলে?
একদা সকালে পাখিরা ডাকার আগে যে ঘুম ভাঙবে বলে
মনে হতো
আজ সেই ঘুম ভাঙতেও পারে
নাও পারে!
বিশেষত ঘুম নিয়ে যতবারই প্রিয় কোন কথা বলা হয়,
যারা সেই সুদূর অতীতে গেয়েছিলো ঘুমপাড়ানোর গান
এখন তাদের কেন যেন খুঁজতেও ভয়,
পাছে ওরা ‘আয়’ বলে ফেলে!
কোন এক হলুদ সন্ধ্যায় আমারও বসন্ত এসে
ডেকে নাকি ফিরে গেছে!
একদা আমার গায়ে বর্ণালি এঁকে যারা বলেছিল,
‘সুখে থাকো’
আজ তারা সুখেই ঘুমিয়ে আছে।
কি বল! এমন স্রোতে গা কেন ভাসাবো না?
আমিও তো নতুন বরষায় গা ধু’তে ভালোবাসি,
আমারও কি তাপে জ্বালা নেই?
খুব বেশী জ্বলা জ্বলা ভাব হলে হেলেদুলে ডুব দিতে
আঁজল খানিক জলে বলেছেন অনেকেই,
আমি কি তা না মেনে পারি?
ভালবাসা সুখ নয় মহামারী: জান না কি, জান না কি তুমি!
খুব বেশী ভার হলে, বেহাগের সুরে কাঁদে বিরানভূমি।
আমার সিথান জুড়ে যে সকল ছামিয়ানা ঘুমোয়
জাগরণে অদেখা আপন মানে: গ্রীষ্মই, আমিও তা জানি।
No Comments