পুকুর সেঁচে আমোদের মাছ-ধরা হলে
মাখোমাখো অনেক মানুষ একসাথে কাদায় নামেন।
বেড়াজালে বেড়া দেয়া হয়; মাঝে তার লক্ষ মাছের
লম্ফ এখানে থামে।
থামে মাছ ও মানুষ।
পোকার মতন কিলবিলে মাছেদের ঝাঁক, কাদার খলবল,
মানুষের কোলাহল, কোলাহল ডানে-বামে-
আধুনিক কাদা সেঁচা মেশিনের ঘর: রাতভর
যন্ত্রণা-সেঁচা কাদা জমে যায়- সব মাছ ধরা হয় না।
সব মাছ ধরে না মিছিল।
কিছু মাছ হাড়িতেও রাখে;
কিছু মাছ রেখে যায় পুরোনো কাদায়।
কখনই বিষ দিতে নেই।
নতুন পোনায়, নতুন বৃষ্টিতে নগর আবাসী হবে পুনরায়।
আসুন- গামছা, প্যান্ট, ধুতি, লুঙ্গি বা পাজামা পরে-
যার যার মতে ঘোলা জলে মৎস শিকারে নামি!
বৈদেশে কাদা আর কাদা-মাখামাখি পয়সায় কেনে।
কাদা জলে নামবেন বলে আগ্রহী মেম প্রয়োজন।
আসুন- দলে দলে-
কাদা মাখুন, কাদা মেখে ডলার দিন!
মহান ফটোগ্রাফার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে
এরকম দুর্লভ দৃশ্য এঁকে এনেছেন কালো ক্যামেরায়।
সকলের সমক্ষে তাকেও কি চোবানো হবে
নাগরিক কাদায়?
ভোট হলো টোট হলো নাগরিক জোট হলো;
ভালোবেসে তবু কেউ একটি মাছও দিলোনা তাকে!
এই নিয়ে তেমাথার বুড়ো বট- দুঃখে আছেন বড়?
মাছের জন্য কাদা, কুলীনের ভরদুপুর,
বোধের জন্য রোদ্রস্নান: এসকল সকলের জোটে না।
অপেক্ষায় বুড়ো বট-তিনি আর কত বুড়ো হবেন?
কত আর সরু হবে প্রসস্ত বুক? এ জগতে
আদিকাল হতে কেজো কুলীন বরাবর দাঁড়কাক হন…
কৌশলে পোঁতা হয় কলির কাদায়।
এরকম কুলীনের বাড়ে না বয়স। বড়জোর একদিন-
হয় সে ঘাটের মড়া।
শত কুলীন গঙ্গা পেলেও, যেসব কুলীন অনায়াসে
নাপিত হতে জানেন তারাও কুলীন নন!
জাত রাখা হবে না তাদের।
এরকম জাত তারা চান না। নিজগুণে শিশু মাছেদের,
গাছেদের দয়া করে বলে দিন,
‘কোন গুণে লেখা হয় কোন ইতিহাস!’
মরার এ ঘাটে যার যার হলো না আগাড়
তার তার কিবা রাজঘাট কিইবা ভাগার!
একবার সকলেই আসুন,
ঘাঁটুন কলির কাদা- দেখে যান মরার এ ঘাটে নবীন,
তরুণ, যুবক, মাঝ বয়েসী, প্রাজ্ঞ কালবাউশ সকলেই
কীভাবে কুঁজো হয়ে আছে।
কীভাবে ন-আনা বিকায় সস্তায়…
আয়নায় দেখে যান; শিখে যান একবার এসে।
No Comments