পারিজাত প্রেম তুমি নিরবতা, বসন্তে নিয়েছ প্রাণ কেড়ে।
মানুষেরা অবিকল তার মতো দুটি হাতে দুটি পায়ে হুবহু।
নিঃসঙ্গ মানুষ আজো কেন হলো না প্রেমিক!
যদিও অবেলায় কেউ তার সুবর্ণ সময় নেয়নি কেড়ে,
জীবনের আনন্দ যজ্ঞের নিমন্ত্রণে কেউ তাকে
নীল খাম দেয়নি উপহার ।
বিমোহিত আমি! অন্ধ মুগ্ধতায়!
খুলে দেখি পায়রার ঝাঁক! বিচিত্র রঙের সাদা নয়, মিশ্র!
চাঁদনী রাতে বিমোহিত পৃথিবীর মতো
সুদর্শনের দৃষ্টি নিয়ে অপেক্ষায়-
গভীর আকুতি তার কান পেতে শুনি ।
ব্যথার ডঙ্কা তখন অন্য কুহরে বাজে।
প্রেমিকের কথাগুলি অমূলক বক্তৃতা যেন!
পচে যাওয়া ডিমের কুসুমের মতো স্মৃতি
কুঁড়ে খায় বলে, বলে বলে হালকা হবার এ প্রয়াস!
জঘন্য রাতেরা, একা দেবদারু,
মগডালে সাবধানী চড়–ই সে কথা শোনে।
শোনে অবচেতনের নতুন প্রভাত।
ইদানীং স্মৃতিও হাওয়ায় দোলে; অবেলায়
রোমাঞ্চ এলে ছুঁয়ে যায় ফাগুনে হাওয়া।
কোন কোন দুঃখে লজ্জাবতীর মতন লজ্জায়
প্রেমিকেরা রাত জাগে একা
সবকিছু এলোমেলো হলে
স্মৃতির পাতায় বেদনা তখন ভাসে।
সুমধুর পৃথিবী ধূসর বর্ণমালা
প্রাচীনতম হায়ারোগ্লিফিক্সে লেখা পদ্য বলে
মনে হতে থাকে। সহস্র বছর লাগে পাঠক জন্মাতে।
কষ্টে স্লোগানে মনে হয় পৃথিবীর সবটুকু সত্যি
মরুভূমি বুকে ভাস্কর্য হয়ে আছে।
‘ভালোবাসো না’ এমন নির্মম সত্যটাকে,
নির্মম ‘না’ কে, মনে মনে পাল্টে দিতে- ভালো লাগে।
মিছেমিছি মনে করি পেয়ে গেছি সব;
মন আজ বলে দিয়ো তারে ভালোবাসো তুমি।
‘পর কোন মানুষের ভালোবাসা, পর প্রেমিকের হাত
পাবে না ছুঁতেও’, এমন একটা কিছু হোক।
এ রকম অনুভূতি খুব ভালোলাগে।
স্মৃতির মিনার হয়ে মাথা তুলে এ সকল অনুভূতি,
বেঁচে থাক হৃদয়েতে চিরকাল। তবু
‘সাথী হয়ে স্মৃতি কোষে অনন্ত সঙ্গিনী, তুমি হও’,
এমন চাই না আমি।
গোধূলি বিকালগুলো, বৈকালী আবেগ,
আবেশের ভাগাভাগি মনে পড়ে।
চোখ চেয়ে কেটে যেত সোনালি বিকাল,
প্রশংসার পঞ্চমুখে এড়াতো না তিলটুকু।
অবশেষে বলতাম, ‘সুন্দর!’
হাসির আদ্যোপান্ত ঘেরা মুখরিত সন্ধ্যায়
পুরোপুরি ভালোলাগা নিয়ে ফিরতাম আমার গুহায়।
তোমার চুলের ভাঁজে সোনালী রোদ্দুর,
কপালের সবটুকু জুড়ে রূপালি ঝিলিক-
রূপসী নয়নে তুমি দেখো?
চশমার পুরু কাঁচে- বিধাতার দান
সুবর্ণ আলোয় মোহিনীও তুচ্ছ যেনো!
মহীয়সী তুমি, আমি অদৃশ্য অন্ধকার, তবু
‘আমার চুম্বন চিহ্ন ঠোঁটে এঁকে নিয়ে আমারই থাকো’,
এমনই চেয়েছি আমি-তুমি তা দিলে না হতে।
এছাড়াও দেখুন: দিনমান অন্ধ বাদুরের মতো
No Comments