ওয়াও! ভর্তা বানানোর রেসিপিটা এইমাত্র হাতে পাওয়া গেল: ইনগ্রিডিয়েন্ট বিশেষ কিছুই নয় হাতের আঙ্গুলের চেয়েও ছোট ছোট বেশ কিছু তেলাপিয়া- কচি কচি তেলাপিয়ার সুস্বাদু ভর্তা!
ভর্তায় মাথা আর মেরুদ-কে অবশ্যই বাদ দিয়ে দিতে হবে। বাদ যাবে লেজও, আর বাদ যাবে যে কোন প্রকার কাঁটা। প্রকৃত সুসভ্যের জন্য প্লেট সাজানোর নিয়ম হলো: প্রয়োজনীয় মাংসের হাড়গুলো শোভা পেতে পারবে কিন্তু, কোন প্রকারেই মাছের কোন কাঁটা পাতে পড়া চলবে না! ভর্তাকে হতে হবে মিহি এবং অতীব মোলায়েম!
মুলতঃ সিদ্ধ করাটা: এক প্রকার আর্ট। যতক্ষণ লবণ হলুদ মাখানো মাছের ছাল চামড়া খসে পেশীগুলো ছড়ে না যাচ্ছে ততক্ষণ চলতে থাকবে এই সিদ্ধকরণ, এক্ষেত্রে উত্তাপ কোন বিষয়-ই নয়। চাইলে হৃদয় দিয়েও দিতে পারা যায় উপযুক্ত উত্তাপ!
কাঁটা বাছাই-আরও এক প্রকার আর্ট! নেপোলিয়ন বেনাপার্ট অথবা আওরঙ্গজেব যেমন করে কাঁটাদের বাছাই করতেন ঠিক তেমন করে বেছে নিতে হবে অবশিষ্ট কাঁটাদের। একটি মোলায়েম ভর্তা কীভাবে তৈরী হতে পারে, জানা চাই।
ওহ্! ভালো কথা! চার পদের ঝাল এতে দিতে পারা যায় যথা শুকনো, কাঁচা, গোলমরিচ এবং আদা। অবশ্য দিতে হবে কাঁচা পেঁয়াজ ও কাঁচা সরিষা বাটাও, এগুলোই ঝাঁঝকে বাড়ায়। সবশেষে একফালি লেবু চিপে লবণ দিতে হবে স্বাদমতো এবং অবশ্যই সরষের তেলে ভেজা ভেজা করে দিতে হবে সম্পূর্ণ ভর্তা।
অবশ্যই, অত্যন্ত দরদ দিয়ে মেখো!
No Comments