শোনা যায় বাতাসের শন্-শন্, শোনা যায় পাঁজরে-ঘুঙ্গুর?
শব্দের স্রোতে নয়, উত্তাল বুকে চেয়ে দ্যাখো
হাপরের ওঠানামা। ফুঁসে ওঠা স্রোত,
সাগরের নোনা-জল গোনা নেই! জোয়ারের টানে দ্যাখো
কেউ যেন চলেছে ভাটায়!
নিদারুণ শেষ ক’টা শ্বাস-হয়তোবা এভাবেই
কারো কারো বিজয়ের ঘন্টাটা বাজছে।
উত্তাল হতে হতে শান্ত শরীর তখন আর
কোনো স্রোতে ভাসে না। খুব শীতে কুয়াশা সকাল
কাঁপনের গান ভালোবাসে না। ও আমার
পরে থাকা শান্ত খোলস বলো দেখি,
‘খেয়ালী বাতাস, কোন দিকে নিয়ে গেলো তারে?’
খুঁজে দ্যাখো!
খুঁজে পেলে বলো তাকে,‘আমাকেও যেতে হবে
পুরোনো প্রদীপ ছেড়ে।’
একদিন ঘুচে যাবে সময়ের শব-ব্যবধান;
পুরোনো প্রদীপ ফুঁড়ে গলিপথে একদিন: সবকিছু– উড়ে যাবে।
No Comments