জেনেছি আমিও, অধিকাংশ পয়ার তোমারও ভালো লাগে।
দেখো, ছন্দে ছন্দে লেখা কয়েকটি লাইন
অন্তে কেমন মিলছে…
কখনো মধ্যে, কখনো মাঝে মধ্যে,
কখনো নিদৃষ্ট তালে তালে নয়: মিলছে তব্ওু!
মনে মিলছে, দেহে ও রীতিতে: মিলছে?
আহা! চতুর্থ মাত্রায়ও কেবল মিল এবং মিল!
শতশত হরবোলা পাখি অনেকের মতো নামে ও বেনামে
ডাকে,
একান্ত নিজস্ব নাম তুলে রাখে,
অনেকের মতো।
নিজস্ব ভাষাও
এইখানে থিতু হয়ে আছে;
এখানে তাদের ভাষা একান্ত নিজস্ব আরো।
এখানে অনেক ভাষা একান্তে নিজস্ব হয়।
এইখানে ডুবে, তুমিও তা জেনেছো নিশ্চয়?
আয়নার মানুষের মতো অচেনা এ পতিচ্ছবি,
স্মৃতিও প্রতিধ্বনি;
তার কাছে তুমিও তো
অধরা যেকেউ।
এতোটা অমিল ছুঁয়ে প্রতিটি লাইন
যে যার মতোই যথেষ্ট বেগে ধাবমান।
এরকম ছন্দে
আদি-মধ্য-অন্তে
মিল বা অমিল নেই,
খুঁজেও গেল না পাওয়া লেজুড় ইষৎ।
কাটা কাটা ছন্দের ঘুড়ি অথবা বিহঙ্গ
যেখানে পূর্ণ উন্মুক্ত হতে পারে
তেমন অসীমে, ছন্দে অথবা আকাশের নিচে;
আকাশের অন্দরে, আকাশের গায় এমনকি ওপারেও
ভালোলাগা কিছুই কি নেই? কিছুই কি নেই?
No Comments