ছাউনিতে যে সকল বাস এখন আর থামে না তাদের
কারো কারো যাত্রাপথ পাল্টেছে (পর্যাপ্ত যাত্রী হয়তো পায়নি!)।
যাত্রীদের অনেকেই নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে গেছে।
(যদিও যাত্রীরা কেউই স্বেচ্ছায় গন্তব্যে যেতে চায়নি!)
যদিও ছাউনিটা পরিত্যক্ত ছিল না কখনোই,
যদিও ছাউনিটা আদৌ পরিত্যক্ত নয়,
যদিও অনেকেরই ব্যস্ত জীবন
তবুও আড্ডাটা বড়ই জমজমাট বরাবর!
ভীড় কোনো বাসে ওঠা নয়,
‘চিকোনো খোসায় লুকানো বাদাম খোঁজা’ এ-ও নাকি
জীবনের লক্ষ্য কারো কারো!
কারো কারো তাও নাকি নেই! তারপরও,
কেন যেনো ছাউনিটা পরিত্যক্ত নয়! অনেকে এখানে বরাবরই
‘প্রেমিক’ হয়ে ঝুলে আছে-
আছে বিরহী রোদ্দুর হয়ে উঠে, ওড়ার অপেক্ষায়!
চিঠি এলে জানাবে বলে কবন্ধ পোস্টবক্সের ঠোঁটে
পুরানো তালাটাও জং ধরে ঝুলে আছে সুদীর্ঘকাল;
সুদীর্ঘকাল ব্যাপী চিঠিগুলো ঝুলে আছে রঙচটা আকাশের গায়!
এখানে চিঠিরা আসে না, চিঠিগুলো যায় না;
প্রেমিকেরা আসে প্রেমিকারা যায়। প্রেমিকেরা হরদম লেখে;
প্রিয়তমা শিরোনামে আমি কোনো কবিতা লিখি না।
ও’নামে এ তল্লাটে, কেউ আর থাকে না!
বরং, আমি ছাউনি খুঁজি-
আমিই বুড়ো চৌকিদার, শহরতলীর বাস পাহারা দিই!
No Comments