শিষ্যমন্ডলীর মধ্যে যিনি শ্রেষ্ঠ, সিদ্ধিলাভ করেছেন
চিন্তায়, উপবাসে, আত্মনিগ্রহে,
দমন করতে শিখেছেন
কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ ও মাৎসর্য,
নিপুণ যিনি যম, নিয়ম, প্রাণায়ামে,
অভুতপূর্ব সাফল্য যার শব সাধনায়, সম্মোহনে,
যার প্রতিনিয়ত চেষ্টায় সাধনায় সন্তুষ্ট তিঁনিও-
এবারে আপনাদের জল, বাতাস, অগ্নি, মাটি,
আকাশ ও শূন্যতার সিদ্ধির সাধনায়
আত্মনিয়োগে উপদেশ দেবেন সেই পুণ্যাত্মা।
কিন্তু তারও আগে লোকালয়ে যাজন সম্পন্ন করে,
ভিক্ষা করে, উপদেশ দিয়ে,
সাধনে নিযুক্ত হবার নিমন্ত্রণ করে এইবার
সন্ন্যাসীর মহান কর্তব্য পালন করুন।
পিতৃগৃহের ঝলমলে পোশাক, বিলাসী জীবন ছেড়ে:
কৌপীনে, সেলাইবিহীন গেরুয়া পোশাকে,
বেছে নেয়া সুদীর্ঘ প্রবাস জীবনে
যতক্ষণ অনুভূতি মরে না যায় ততক্ষণ,
হিমালয় চূড়ায় দাঁড়িয়ে,
যতক্ষণ ব্যথা,
ব্যথার অনুভূতি, মরে না যায় ততক্ষণ
কণ্ঠে ঢালুন মন্ত্রের অমৃত।
নিশ্চয় একদিন আপনারাও মহান তপস্বী হবেন।
একটি মাত্র লক্ষ্য: মোক্ষ।
তৃষ্ণা, আকাঙ্ক্ষা,স্বপ্ন, আনন্দ-বেদনায় মুক্তি।
দূষিত কামনাকে মরে যেতে দেওয়া।
নিরাসক্ত হৃদয়ে শান্তি, বিশুদ্ধ চিন্তার আস্বাদ পেতে ।
আনন্দে, সৌন্দর্যে, মায়ায়- জগৎ ছেড়ে
কখনো কি সকল বিক্ষোভ, আকাঙ্ক্ষা শান্ত হয়ে
অন্তঃসত্ত্বা আত্মা জেগে উঠবে না পূর্ণ পরিতৃপ্তি নিয়ে?
একটু কি গোছানো গেছে ঘর?
কতটা পৌঁছানো গেছে লক্ষ্যের নিকট?
কতখানি শেখা হলো সাধনায়?
হয়তো যা কিছু শেখা গেল
আরো সহজে, আরো দ্রুত শেখা যেত,
কোনো পান্থশালায়
মুটে মজুর, সাধারণ মানুষের কাছে!
কেবলই পাপ ও বেদনা হতে
ক্ষণস্থায়ী এসকল উপশম মাত্র!
পন্ডিত, কঠোর শ্রমণ, সন্ন্যাসী সাধু, জিজ্ঞাসু,
একাগ্রচিত্তে যারা সাধনা করেছেন অন্তর দেবের,
আপনারা, কৃপা করে একবার বলুন,
‘কোথায় কীভাবে পাব সত্যের সন্ধান?’
পবিত্র সাধনগ্রন্থে’, মন্ত্রে দিনের-পর-দিন
উত্তর খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত সন্তান। এইবার, এইবার-
জননীগো, জননী ভিক্ষাং দেহি, জননী ভিক্ষাং দেহি.
এছাড়াও দেখুন: মোটামুটি ধরনের ভ্রমণের প্লান
1 Comment