এমন নিস্তরঙ্গ ঠোঁট আমি চাইনি, অন্তত দু’বার কাঁপুক।
ক্রমশ গোল, ক্রমশ সরু হয়ে আসুক।
যে সকল ঘুম খুব বেশি গাঢ় নয় সেখানে চোখের পাতা যেরকম
কাঁপে,
একবার তেমনই নাহয়, কাঁপুক সে ঠোঁট।
খুব বেশি আবেগ, যেমন শিশুদের দেখি-
দেখাদেখি একবার কেঁপে ওঠো তেমনই নাহয়।
আবেদন খুব বেশি নয়-
অন্তত দুইবার কেঁপে ওঠো ঠোঁট।
আমাদের অক্ষম চোখ কিছুদূর দেখে, বহুদূরে দেখে না; অতদূরে
যেও না তুমিও।
যতটা নিকট হলে চোখে আর দেখা যায় না,
যতটা নিকট হলে চোখের আড়াল হয়,
অতোখানি কাছে তুমি এসো না; ভেসো না সাগরে।
নোনা জলে, কিচ্ছু পড়ে না চোখে।
এমনও তো কত হয়, কত কিছু চোখে দেখা যায় না।
হয়তোবা সেরকমই কেঁপেছিলো ঠোঁট একদিন
আমিই দেখিনি শুধু অক্ষম চোখে।
যতটা মুচড়ে দিয়ে ছিঁড়ে ফেলা যেতে পারে নাড়ী,
অতখানি দেহের মোচড় দিতে নেই, জানো! এই দ্যাখো,
চোখে শুধু তাঁত শাড়ি দেখে চলেছি।
ঝাপসা, চালসে পড়া চোখে-
চশমাটা আনিনি, কী করে বুঝবো বলো মুখের আদল;
বহুদিন হলো, ভুল বড় বেশি হয়।
একবার ঠোঁট ছোঁয়া প্রেম, ছুঁড়ে যদি দিতে!
তোমার অজানা নয়, ‘আমি বেশ চিনি সেই প্রিয় কম্পন।’
হায়! শাড়ি, হায়! চোখ, হায়! প্রিয় ঠোঁট,
এত বেশি দেহ,
এত বেশি নিকটতা, এতো বেশি ছুঁয়ে দেখা: ভালো নয়!
No Comments