থ্যবড়ানো সংস্কৃতি

সকল কবিতা By 6 months ago No Comments
5
(3)

কী এমন সংস্কৃতির দায়ে গুণীদের চুপচাপ বসবাস;
কারো কারো মাথা থাকে না? যার যার মাথা থাকে
চোখ থাকে অন্য মাথায়? থাকে তো থাকুক চোখ
হৃদয় বা কেন!
হৃদয় বদলে গেছে থ্যাবড়ানো কাদায়!
পেটের বেলায় শুধু একে খেলে অন্যের পেট ভরে না!
নারকেল মালাই মাথা, প্যাঁচপেঁচে গুবরে ঘিলু, ক্যাঁতকেতে
প্যাঁক-কাদা হার্টগুলো বয়ে নিয়ে অনেকেই নাইতে নেমেছেন।

কারো প্রসংশায় যখন কেউ পঞ্চমুখ হন,
আমরাও একসাথে বাহ্ বাহ্ করি।
কেউ যখন বিপরীত বলেন-বললেন,‘ পাতে দেয়া যায় না’,
আমরাও একযোগে বলি, ‘পাতে দেয়া যায় কই,
এও-কি পাতে দেয়া যায়?’
এলসেসিয়ানের জন্মদিন কি বিবাহে
কারো ভাই, কারো বোন, বন্ধু বা পরিজন
শখে কি স্নেহে বললেন, ‘বেশ বেশ’, আমরাও বললাম, ‘বেশ বেশ।’
মাল্টি লেভেল মার্কেটিং চলল, আমরা বললাম, ‘বেশ বেশ।’
কর্পোরেট সেল চলল, আমরা বললাম, ‘বেশ বেশ।’

নির্গুণ গুণী হলো আমরা বললাম, ‘বেশ বেশ।’
গুণীজন গড়াগড়ি খেল, আমরা বললাম, ‘বেশ বেশ।’
অনুশোচনা থাকতে নেই, উত্তাপ থাকতে নেই।
বোবার শত্রু নেই। আহাম্মকের জাত নেই।
ভালো আর ভালোলাগা হামেশাই গিলে ফেলি আমরা।
নীরবতার নামে আচাভুয়া মার্কেটিং-
সযতে সাজানো নকল জগতে চটকে ফোকাসে ধাঁধায় চোখ।
ততক্ষণে আলোগুলো নিভে গেছে।

Download PDF

বিজ্ঞাপন

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 5 / 5. Vote count: 3

No votes so far! Be the first to rate this post.

Author

তন্ময় সাহা(১৯৮৩)–জন্ম বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে খ্যাত কুষ্টিয়া জেলায়, কুষ্টিয়ায় বেড়ে ওঠা, শৈশব কেটেছে, কৈশোরেও তার কুষ্টিয়া আর গড়াই নদীর মাখামাখি। তারপর লেখাপড়া ও কর্মসূত্রে বহুদিন ধরে খুলনায় বসবাস। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি এন্ড জিনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক, বায়োটেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা হতে। এরপর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সিকিউটিভ এমবিএ (এইচ আর এম) সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও তিনি ‘দি ফ্লেচার স্কুল অফ ল’ এন্ড ডিপ্লোম্যাসি; টাফ্ট ইউনিভার্সিটি কর্তৃক ডিজিটাল ফিন্যান্স প্যাকটিশনার হিসাবে সনদপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি উপপরিচালক হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক, খুলনায় কর্মরত আছেন। লেখালিখি চলেছে বিক্ষিপ্তভাবে, শখে, আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হলে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যুক্ত ছিলেন নাট্যদল ‘থিয়েটার নিপূণ’ এবং বিজ্ঞান পত্রিকা ‘বায়োটকের’ সাথে। বই, বাংলা সাহিত্য হলো তার ভালোবাসা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া প্রতিযোগীতায় স্কুল পর্যায়ে পাওয়া সার্টিফিকেট আর উপহারে পাওয়া বইগুলোকে আজও অতি যত্নে রেখেছেন, নিজস্ব বুকসেলফে। মুলতঃ কবিতা লেখার শখ, টুকটাক গদ্য লেখারও চেষ্টা চলে। বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত কবিতাগুলি সহ সোস্যালমিডিয়া, টুকরো কাগজ আর ডাইরিগুলোর পাতা থেকে অদুর অতীতে লেখা নিজের পছন্দের বেশ কিছু কবিতা মলাটবন্দী করে, আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন হোরাসের চোখ, বিবিধ ঘোড়সওয়ার ও কালো মেম কাব্যগ্রন্থে।

No Comments

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!