নিস্তব্ধ রাত্রির খোলসখানি ভেঙ্গে
জোয়ারের পর্বতমালা আঁধারের গ্রাস হয়ে গেছে।
পৃথিবীর আঁধার থেকে উত্থিত জীবন
রক্ত সাগরে নামে অজেয় মহিমায়! নদীরা
পাদস্পর্শে ছোটে, স্তন বরাবর কুয়াশায় ঢাকা তার মাথা
জেগে আছে পৃথিবী ফুঁড়ে!
উন্নত যারা তারা বলেছিলেন বজ্রনিনাদের মতো কণ্ঠস্বরে;
সমুল আন্দোলন!
এরই জন্য কি? এমনই কিছু পূর্বজ রাতে!
বাতাস পূর্বমুখী। দখিনে ফেরাবে মুখ!
নাকের গহ্বরে ভিড় করে দুর্গন্ধ শবের।
পোড়া মাংসেরও নাকি সুমিষ্ট সুগন্ধ, আস্বাদন,
আছে মৃত্যুদ- প্রাপ্তেরও বুক ভরা নিশ্বাস! আপন দুর্গন্ধ
ছাপিয়ে সমস্ত তীব্রতা বয়ানে
পচা শবের গন্ধ করে অনুভব বোধের অপমানে।
ফেরাবে মুখ গন্ধহীন দখিনের উত্তপ্ত সৌরভে!
ধ্যানমগ্ন জীবনে এমন অবসরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে
এখনো মৃতেরা বাঁচে!
অদম্য যুবতী, যুবতীর আত্মায় গাঁথা পেশীর
দীর্ঘশ্বাস, মৃত্যুর সাথে যোদ্ধার মিত্রতা যেমন
রাজপুত্র গড়ে তোলে প্রজন্মের ছাই দিয়ে রাজ্য তেমন।
শবের ধ্বংস কোনো কালে-ই স্থায়ী নয়।
অবিরাম সমুদ্র গর্জন ভুলে পূর্ণ নিদ্রায় আছে সমকাল।
কে পারে ধ্বংস করে দিতে লক্ষ্য যার সূর্যের মতো?
পূর্ণ যুবতী হৃদয়ে যৌবন গায় গান।
দূর কোনো উপত্যকা হতে ভেসে আসে সুর
সোনালি কাঠের বীণা হতে; সুর তার স্পষ্ট বড়।
সকল দাম্ভিকতা নিঃশেষ হবে না বেছে নেওয়া
কঠিনতম পথে। চান্দ্র-সৌরবর্ষের দাবি মেনে
পরিপূর্ণতার পথে যেতে যেতে বীজ বুনে দেখায় সমকাল।
মাটির প্রতি তৃষ্ণায় পৃথিবীর গর্ভ হতে এসে
প্রেরণারা বাসা বাঁধে।
তাই সে ক্ষণিক ঝড়ে তুলে নেয় বুনোফুল;
পৃথিবীর বুকে আঁকে জীবন তৃষ্ণাটুকু।
গোপন অন্ধকারে মৃত্যুকে করে সাকি।
দুঃখকে মোড়ক করে, ইচ্ছাকে দীর্ঘ করে-
(যদিও আকাঙ্ক্ষিত দিন রাজবন্দী আজ।)
দিন আচ্ছন্ন তবু সূর্যমুখীর দ্রোহে ডানা মেলে পর্বত।
পর্বতবাসী ঈগলের মতো মাথা তার উঁচুতে ওড়ায়।
সিদ্ধান্ত চিরতা যেন,
প্রশংসা কে গায়;
স্বেচ্ছায় দুঃখকে কে ডাকে প্রার্থনায়?
ভূমিতে শায়িত পৃথিবী যখন
ক্ষুধায় কাঁদতে থাকে, মহাকালের ওপারে
আত্মারা জাগে। বোঝা যায় পূর্ব অনুমানে,
‘আমাদের আগামীকাল নতমুখী পঙক্তি নয়।’
কেউ যেন যোদ্ধাদের মৃত না বলে;
এখানে যোদ্ধাদের ‘বিদেহী’ ভাবা- নিষেধ।
আরো জানুন: ছুঁয়ে দেখো রূপকথা
1 Comment