যে নদী স্রোতস্বিনী তাকে কেউ ক্রোধী বলে না।
চলে নদী সর্পিল পথ এঁকে এঁকে।
দুইধারে সভ্যতা, ফসলের বিশেষ বিপ্লব-
ঝড়ো গতি স্বাভাবিক, রুঢ়তাও অমঙ্গল নয়।
আজন্ম সংগ্রামী নদী স্বাভাবজ তার ‘রুঢ়তাকে’
হাসিমুখে প্রকৃতিই দিয়েছে প্রশ্রয়।
মুখে তার ‘ভদ্র মহোদয়’, ‘ভদ্র মহোদয়া’ এসকল
সহসা শোনা না গেলেও,
ক্ষরস্রোতা নদী ‘পাহাড়ি ঝর্না’ হওয়ায়,
‘বাঁধানো পুকুর’ অথবা ‘সুইমিং পুল’ না হওয়ায়
পরিচয়ে তাকেই ‘প্রগতির কারিগর’ বলে।
ছাইয়ের খনিতে হীরক খণ্ড নদী।
ভণ্ড সে নয় মোটে; অকারণ অভিনেতা নয়।
সেও জানে, ‘শেকল লোহার হোক
অথবা সোনার, শেকল তো শেকলই।’
বয়ে চলা নদী ঘিরে
অগোছালো চাহনিটিরে কে যেন বলেছিল
‘ভালোবাসা’! ধন্য জীবন তার; ধন্য সে
ডেকে আনা ‘মৃত্যু সর্বনাশা’।
একদিন স্রোতস্বিনী ঠিকঠাক নদী হবে দেখো।
এছাড়াও দেখুন: অচেনা ঘাসফুল
No Comments