প্রায়শঃ নিহত হই; প্রায়শঃই নিহত হই…
কাঁচে কাটা ঝাঁকা মুটে যে, রাস্তার ফেরিওয়ালা
রাস্তার খোঁজে আছে সেও!
খানা কি খন্দে পড়ে চেয়ে আছে অথৈ সাগরে।
কেনো আজ ভাত নেই, ভাতেরা বিলাসী হয়ে মিশে গেছে
কাঁচের বহরে…
যার যার রাঁধা ভাত ছিলো, তার তার ভাত আজ
কাঁচে মাখামাখি। কাঁচে মাখা মাটি-মাটি ভাত কুকুরেও
ছোয় না! গলা ছোলা মুরগীর দানা
হতে পারে বড়জোড়!
কাল আর মানুষের দানা নেই!
রোগা পাছা, সুমো মুখ- কাঁচ ফেরিওয়ালা প্রায়শঃ
নিহত হলেও,
খানা আর খন্দের দোষ নাকি নেই!
অথচ শরীর যার নিতান্তই ক্ষীণ, সেও নাকি নির্দোষ নয়!
রোজ যারা ‘ভাত কই, ভাত কই’ বলে-বলে নিহত,
বিকারগ্রস্ত নয়, কোনমতেই খাদক যারা নয়, দস্যু নয়
সেইসব ভিখারি কি নিহতের দোষে আজ নাকি সভ্যতা গতিহীন!
‘প্রায়শঃ নিহত হওয়া’ এ নাকি ভিখারীর জন্ম স্বভাব!
(সব হলো স্বভাবের দোষ।)
শব সাজা সত্যিই কার কার স্বভাবের দোষ?
বরাবর আমি খেটে খাওয়া নিহত ছিলাম।
বরাবরই আমি খেটে খাওয়া নিহত ছিলাম।
No Comments