একটা বুকশেলফ আমারও কেনা উচিত।
বইগুলোকে কেউ আর বুকে রাখছে না; মাথায়ও রাখছে না।
রঙিন মাছগুলো এক্যুরিয়ামে বন্দী; ওদের
কোন বন্দর নেই, জানে, ধরা পড়ার পর কোথাও ওদের খালাস করা হবে না!
সেই রকম নির্ভয়েই আছে বইগুলো ।
তেলাপোকায় কাটার ভয় নেই; নিয়মিত ন্যাপথলিন দেয়া হচ্ছে,
ঝাড়া-পোছাও করা হচ্ছে।
তাছাড়া বইগুলো সেইসব মনিষীর লেখা যারা নমস্য,
সচরাচর যাদের এখন আর কেউ পড়ে না অথচ
যেকোন গবেষণালব্ধ সন্ধর্বের সাথে
সঙ্গে সঙ্গে মানিয়ে যাবে। আবশ্যিকভাবেই
যাদের লেখায় এঁদের কয়েকটি উদ্ধৃতি চলতে পারে এবং আজ যারা সত্যিই গোল্ডেন ফিস: ছবি তোলোর জন্য তারাতো বেশ ভালোই।
পড়বার ইচ্ছে নিয়েতো কেউ আর মালাট উল্টাচ্ছে না!
অথর্বের মতো এক পাহাড় বই একত্র করে আমি শুয়ে আছি।
উত্তরে মাথার পেছনে, ডানপাশে, বাঁপাশে
যেসকল বই গোছানো আছে:
সাইজে ও ভল্যুমে, আকারে ও ইঙ্গিতে নানান পদের।
বিষয়ের দিক থেকে
এদের কেউ কেউ কবিতা, কেউ প্রবন্ধ, কেউ উপন্যাস,
কেউ আবার নিরেট গদ্য-ই।
এইযে বারোমিশালী বারোমাস পড়ছি: এবারে আমি
এদের যুৎসই নাম দিতে চাইছি।
ভাবছি, আমার বুকশেলফের বইগুলোর প্রত্যেকের জন্য
আলাদা নাম, ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় আর লিখবো না।
তারপরও যদি ভাগ করে বিজ্ঞান, দর্শন, সমাজকর্ম
এরকমই বলা হয়: সেক্ষেত্রে আমি ‘বই’ হিসাবেই একত্রে ওদের পরিচয়
লিখে রাখবো বুকশেলফের লতায় পাতায়।
আমি সব পড়ি।
No Comments