কাচের জানালায় শ্বেতপাথরের মূর্তিটা বন্দি হয়ে আছে।
চকচকে সাদা আভা ছড়িয়েছে অঙ্গে অঙ্গে যেনো।
এখনো সারা গায়ে ধুলোর সুগন্ধ করে লুটোপুটি।
পুরাকীর্তি; প্রাচীন পুরাকীর্তি।
শাবলের, কোদালের, তুলির আঘাতে ক্ষয়ে গেছে,
উড়ে গেছে তিনটি আঙ্গুল
উড়ে গেছে তিন শালিকের মতো,
ক্ষয়ে গেছে প্রাচীন সে গাঁথা,
বারবার মরেও আদি ব্যর্থতা, ফিরেছে পুরাকীর্তি হয়ে।
অনেক গবেষণার পর বিজ্ঞজন বলেছেন,
এ কোনো দেবী মূর্তি নয়,
কোনো দেবতার ছায়া অঙ্গ ছোঁয়নি একবারও,
ও কোনো কামিনী নয়, হতে পারে অভাগা নর্তকী কোনো,
যতো দর্শনার্থী আছেন
এক মনে আপন করাই ছিলো কাজ, এ পুরাকীর্তির।
এই যে এতোক্ষণ এক সুদর্শন ছিলো, এখন আছি আমি,
যাদের কোনো পরিচয় নেই, শেকড় নেই, বৃত্তি নেই
এ পুরাকীর্তি টানে তাদেরও।
আমার কারো ঠিকানা জানার প্রয়োজন নেই, তবু
পুরাকীর্তি কানে কানে বলে গেল নিজের পরিচয়।
অযুত বছরের জমজমাট প্রেম, সে
এখন বেঁধেছে বাসা কাঁচঘেরা ফ্রেমে।
বলে গেল, আমি যদি নর্তক হতে পারি
সে হবে পূজারি আমার।
আরও পড়ুন – >>> কালো পর্দা দুলে ওঠো
No Comments