কেন, কেবলই ছুড়ে দাও? ছুড়ে দাও অগ্নির দিকে মাংস,পোড়াও-
ছুড়িকে লতানো লাউগাছে,
ময়লার ঝুড়িতে রাখো শেকড় কেটে কেটে। কেন?
কেন ফণীমনসাকে মনসা বানাও,
ছুড়ে দিয়ে বিষদাঁত, কেড়ে নিয়ে সন্তাপ,
কালো কাপড় চোখে বেঁধে;
কেনইবা এগোয় কপাল রক্ত মাংসের মানুষ বেঁটে বেঁটে।
তবু ওরা কবরে যাবে না, যাবে না চিতায়,
ওরা জানে ওরা মৃত, মৃতদের চুপ
থাকতে নেই: ভারী থেকে আরও ভারী হয়ে বোঝা
হয়ে চাপতে হয় শত্রু শিবিরে,
ঠিক যেনো এক একটি জগদ্দল পাথর।
ওরা কাঁটা হয়ে জন্মায় মরে কাঁটা বুকে নিয়ে,
একেকটি হাত এক একটি ফণীমনসার হয়,
কঠোর মরুর মাঝে জেগে থাকে জল, পাহারা দেয় আলো,
ওরা মরেনি, একটু ঘুমিয়ে নিক, যে চোখ
প্রতিবাদে জ্বলে ঘুমলেই সেই চোখ হবে কি পাথর?
তোমরা কি জানো না? এ ঘোর অজ্ঞতা,
জান না প্রতিবাদ হেঁটে হেঁটে আসে না
ফণীমনসাকে মনসা বানাবো না হয়, লক্ষ লক্ষ
বিষদাঁত এঁটে এঁটে! কেউ যদি এগিয়ে না আসো স্বেচ্ছায়।
আরও পড়ুন – >>> অজগরের খোলস থেকে
No Comments