সোনালি হরফ লেখা ‘কলমটা’ তার যাযাবর ছিল।
চোখের পাতায় মায়াবী কবিতা আঁকা।
কবিতা মাছের চোখ: দৃষ্টি অপলক, পাখায় সে পাখি ছিল।
ভাবনারা আট বেয়ারার পালকি চড়ে এসে
কবিতায় হয়ে যেত যাযাবর বক।
এবারেও যাযাবর এই পথে হেঁটেছে কিছুক্ষণ;
এই পথ খেয়াঘাটে যায়।
মড়ার পাটি, পোড়া কাঠগুলো ছড়ানো পথের এদিক সেদিক।
সমাধিগুলো, বটগাছটাও দিব্ব্যি আছে।
পথে কিছু বসতিও আছে। তাদেরই একজন, তার কাছে
সন্ধ্যার সাজো ‘তাল রস’ এক নিশ্বাসে খেয়ে
হাড়ি ভরে ‘তাল গুড়’ কিনে বাড়ি সে ফিরেছে; মাত্র।
পথ নাকি টানে?
যাযাবর মরে গেলে কবিতার ছেঁড়া পাতা দিয়ে জ্বালিও উনুন।
আপাতত সংসার জ্বালায় জ্বালিয়ো না।
সবখানে সব মানুষ সমান যাযাবর নয়; কোথাও কোথাও ‘থিতু’।
বক তার পাণ্ডুলিপি উড়ে যেত বাতাসের স্রোতে।
শেষে, তাকে খুঁজে নিতে হতো,
‘কোন হৃদয়ে কতটা শব্দ চাষ করা হলো।’
না পেলে, দিব্বি সে বলে দিত, ‘যাকগে’!
চর্যার কত পদ কেউ মনে রাখেনি যখন, আমি কোন ছাড়!
এইভাবে বাঁচে, এভাবেই মরে, যাযাবর এইভাবে ছুঁয়েছে হৃদয়।
এইভাবে আসে, এভাবেই চলে যায়; যার যা যাবার।
হৃদয় ধরার ছলে, ‘ফাঁদ’ সে পাতেনি কখনোই; একটাই হৃদয়ের
আঙিনায় বসে যাযাবর বরাবর ছুঁয়ে যায় অনেক হৃদয়।
এছাড়াও দেখুন: তখনো আগুন জ্বলছিল
No Comments