যাযাবর

সকল কবিতা By 6 months ago No Comments
5
(1)

সোনালি হরফ লেখা ‘কলমটা’ তার যাযাবর ছিল।
চোখের পাতায় মায়াবী কবিতা আঁকা।
কবিতা মাছের চোখ: দৃষ্টি অপলক, পাখায় সে পাখি ছিল।
ভাবনারা আট বেয়ারার পালকি চড়ে এসে
কবিতায় হয়ে যেত যাযাবর বক।

এবারেও যাযাবর এই পথে হেঁটেছে কিছুক্ষণ;
এই পথ খেয়াঘাটে যায়।
মড়ার পাটি, পোড়া কাঠগুলো ছড়ানো পথের এদিক সেদিক।
সমাধিগুলো, বটগাছটাও দিব্ব্যি আছে।
পথে কিছু বসতিও আছে। তাদেরই একজন, তার কাছে
সন্ধ্যার সাজো ‘তাল রস’ এক নিশ্বাসে খেয়ে
হাড়ি ভরে ‘তাল গুড়’ কিনে বাড়ি সে ফিরেছে; মাত্র।
পথ নাকি টানে?
যাযাবর মরে গেলে কবিতার ছেঁড়া পাতা দিয়ে জ্বালিও উনুন।
আপাতত সংসার জ্বালায় জ্বালিয়ো না।
সবখানে সব মানুষ সমান যাযাবর নয়; কোথাও কোথাও ‘থিতু’।

বক তার পাণ্ডুলিপি উড়ে যেত বাতাসের স্রোতে।
শেষে, তাকে খুঁজে নিতে হতো,
‘কোন হৃদয়ে কতটা শব্দ চাষ করা হলো।’
না পেলে, দিব্বি সে বলে দিত, ‘যাকগে’!

চর্যার কত পদ কেউ মনে রাখেনি যখন, আমি কোন ছাড়!
এইভাবে বাঁচে, এভাবেই মরে, যাযাবর এইভাবে ছুঁয়েছে হৃদয়।
এইভাবে আসে, এভাবেই চলে যায়; যার যা যাবার।
হৃদয় ধরার ছলে, ‘ফাঁদ’ সে পাতেনি কখনোই; একটাই হৃদয়ের
আঙিনায় বসে যাযাবর বরাবর ছুঁয়ে যায় অনেক হৃদয়।

এছাড়াও দেখুন: তখনো আগুন জ্বলছিল

বিজ্ঞাপন

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 5 / 5. Vote count: 1

No votes so far! Be the first to rate this post.

Author

তন্ময় সাহা(১৯৮৩)–জন্ম বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে খ্যাত কুষ্টিয়া জেলায়, কুষ্টিয়ায় বেড়ে ওঠা, শৈশব কেটেছে, কৈশোরেও তার কুষ্টিয়া আর গড়াই নদীর মাখামাখি। তারপর লেখাপড়া ও কর্মসূত্রে বহুদিন ধরে খুলনায় বসবাস। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি এন্ড জিনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক, বায়োটেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা হতে। এরপর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সিকিউটিভ এমবিএ (এইচ আর এম) সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও তিনি ‘দি ফ্লেচার স্কুল অফ ল’ এন্ড ডিপ্লোম্যাসি; টাফ্ট ইউনিভার্সিটি কর্তৃক ডিজিটাল ফিন্যান্স প্যাকটিশনার হিসাবে সনদপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি উপপরিচালক হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক, খুলনায় কর্মরত আছেন। লেখালিখি চলেছে বিক্ষিপ্তভাবে, শখে, আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হলে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যুক্ত ছিলেন নাট্যদল ‘থিয়েটার নিপূণ’ এবং বিজ্ঞান পত্রিকা ‘বায়োটকের’ সাথে। বই, বাংলা সাহিত্য হলো তার ভালোবাসা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া প্রতিযোগীতায় স্কুল পর্যায়ে পাওয়া সার্টিফিকেট আর উপহারে পাওয়া বইগুলোকে আজও অতি যত্নে রেখেছেন, নিজস্ব বুকসেলফে। মুলতঃ কবিতা লেখার শখ, টুকটাক গদ্য লেখারও চেষ্টা চলে। বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত কবিতাগুলি সহ সোস্যালমিডিয়া, টুকরো কাগজ আর ডাইরিগুলোর পাতা থেকে অদুর অতীতে লেখা নিজের পছন্দের বেশ কিছু কবিতা মলাটবন্দী করে, আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন হোরাসের চোখ, বিবিধ ঘোড়সওয়ার ও কালো মেম কাব্যগ্রন্থে।

No Comments

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!