অনেকদিন হয় আমি কোনো বাজে খরচ করছি না।
মূলতঃ আমি আর প্রেমে পড়ছি না; বেশ বুঝে গেছি: শুকিয়ে
আমসি হয়ে গেলেও হৃদয়কে খরচ হতে দেয়া চলবে না।
এটা অনেকটা সেইরকম যেমন এককালে টাকা জমিয়ে
যে বহুমূল্য মানিব্যাগ আমি কিনেছিলাম তাতে
মানিব্যাগের সমান দামী নোটগুলো তুলতে হলে
এখনো আমাকে কয়েকবার জন্মাতে হবে
সুতরাং মানিব্যাগ খরচের প্রশ্নটাই এখন আর আসছে না।
আমিও এখন আমার তিন প্রকোষ্ঠের হৃদয়
মোটামুটি জোড়াতালি দিয়ে চার প্রকোষ্ঠের বানিয়ে
শান্ত আছি:
প্রতিটা প্রকোষ্ঠ এক এক বেলায় খরচ করলেও
বাল্যকাল, তারুণ্য, যৌবন পেরিয়ে হয়তোবা পৌঢ়ত্ব পর্যন্তও
পার করে দিতে পারবো।
নির্ঝঞ্ঝাট তিন প্রকোষ্ঠের হৃদয় নিয়ে
যৌবনের পারে যাবার আশা: সে যে বাতুলতা; ওকথা কেইবা
না বোঝে বলো!
বুকভরে দম নিয়ে দেখেছি, দম নিতে নিতে দেখেছি,
দম ফেলতে ফেলতে
দেখেছি: রক্তের দলা’গুলোর যে অক্সিজেন এখন দরকার
ফুসফুস তার যোগান দিতে পারছে না। তাই বলে
আমিতো আর হৃদয় কে ধার দিয়ে নিঃস্ব হয়ে যেতে পারি না!
তুমি হলে, দিতে?
অতএব প্রেমে পরার মতোন বিলাসবহুল প্রজেক্ট
এখন অপাততঃ স্থগিতই রেখেছি, প্রিয়তমা।
No Comments