এই যে দাঁড়িয়ে আছি, শেকড় কোথায়?
যদিও পাদপ নই, তবুও আমার শেকড় চাই।
এ নয় পঞ্চবটি বন, অথবা চন্দনঘেরা স্বর্গ ভুবন।
যেন এক রহস্যের খনি, এ বনানী চিনি না আমি
শুধু জানি এ আমার মন।
বিপন্ন বীথিকা তলে আমি নিশাচর, তন্ন তন্ন করে খুঁজি
আপন শেকড়, মাটি খুঁড়ি । খঁজে পাই ঝাঁক ঝিঁ ঝিঁ পোকা,
ভাঙে বীথিকা, কাঁদে অবিরাম
তবুও চাবুক চলে?
থেকে থেকে জেগে ওঠে ঝড়, ঝড় নয় ঝড় নয়
মন সে খেচর, পণ করে খঁজে চলে, কোথা সে শেকড়?
আবারো কবির মতো, পড়ো কেন জীবনের বোধ!
ধ্বংসে বন্দি হলে বাঁচবার ক্ষমতা কোথায়?
তবু আমি ছুটে চলি শেকড়ের সন্ধানে। হয় না
শেকড় ছুঁয়ে দেখা। এড়ানো কাঁটাতার, প্রেয়সীর মুখ
হায়নার কান্না, শেয়ালের হুক্কাহুয়া, প্রদীপ নিভু নিভু।
জীবন স্পর্শ করে শৈল্য চিকিৎসক হাত দিয়ে
টেনে তোলে বুলেট, ফুঁড়ে দেয় ইঞ্চি পাঁচেক বস্তা সেলাই সুঁই।
এইতো নিত্যদিন, অপরাধে,
বাস্তবে তোমার আমার জাগ্রত জীবনের বোধ!
এভাবে চলতে থাকলে দু’টি অক্ষরে শত্রু বাড়ছে বাড়বেই।
আরও পড়ুন – >>> হৃদয়ের ফটোস্ট্যাট
No Comments