ইদানীং মন একা; ভালোবাসে অসভ্যের মতো।
পাষাণ চোখও কাঁদে; ভারী মেঘ বড্ড জ্বালায় ইদানীং।
এই একা একা লাগা সাজে কি শ্মশান কবি-র?
শেষ হোক হতাশার রসায়ন; নেই প্রাণ প্রাণ-রসায়নে?
কোন কাজলে চোখ রাঙালে চোখের কান্না থামে?
কোন আকাশে রাঙা মেঘের বুক?
মেললে ডানা কোন আকাশে খোদাই করা সুখ?
মিলিয়ে যাবে ডানা ভাঙ্গার ভয়!
কোন বিকেলে সঙ্গী খোঁজা মোটেও অসুখ নয়?
এমন কাজল, এমন আকাশ, এমন বিকেল
ঘুমিয়ে গেছে কোন শ্মশানে?
আমি আর আসব না শ্মশানে!
পারিনি কিনতে আমি ‘রাজকীয় রক্ষিতা প্রেম’!
‘কর্পূর’ পারিনি কিনতে; ‘সোনালি পোকা’,
‘প্রজাপতি ডানা’ কিনতে পারিনি, এবারেও!
তবু আমি ফেলিনি দীর্ঘশ্বাস।
জেগে ওঠা ঘুমন্ত পৌরুষ নিয়েও ‘রেশমি রুমাল’,
‘মহার্ঘ্য পোশাক’, ‘সুগন্ধী গোলাপ’ কিনতে পারিনি আমি!
পারিনি কিনতে, ‘রূপ’ আর ‘রূপালি রুটিও’!
না দিলে ধরা চুম্বনে চুম্বক নেই।
বলো, শীঘই্র কী করে ‘কঙ্কণ’ পেতে পারি,
বলো, শীঘ্রই কী করে পেতে পারি ‘সোনালি চাকা’-
কঙ্কাল হবার আগেই; আমি তোমাকে কিনতে চাই!
ধ্যানে আর উপবাসে আর কতকাল!
এছাড়াও দেখুন: একা দেবদারু
No Comments