উঁচু তলায় চোখ রেখে খঁজেছি উত্তরের ডাস্টবিনে,
বড় বড় দালানের ছাদে, কখনো কি দখিনা বাতাস অথবা কাক
এনে ফেলেছিলো দুর্মূল্য সম্পদ ?
পশ্চিমের আস্তাকুড়ে সেই পরিচিত লাশ রাখা আছে।
রক্তাক্ত হৃদয়টা তার উড়ে গেছে ঝড়ে।
মেঘে মেঘে অনেক হলো বেলা, এখন দুর্গন্ধময়
লাশটার পোস্টমর্টেম হতে হবে, হতে হবে তল্লাশ।
মানুষটা প্রেমিক ছিলো হৃদয়ের শূণ্যস্থানে
অতি স্পষ্ট হৃদয়ের দাগ আছে,
অদ্ভুতভাবে চেয়ে আছে মৃত লাশ, চোখ নয়
শতকোটি টর্চলাইটের আলো যেন জ্বলে, শরীর নয়
নড়ে ওঠে পৃথিবীও।
মূকও মুখর হয়ে বলে যায় গোপন খবর।
লাশ কি কথা বলে ? কী এমন কথা বলে লাশ?
এ লাশ বরং একটু অন্যরকম।
কেমন এর চুপচাপ দুখু মিঞা ভাব।
রক্ত সঞ্চালনে অদ্ভুত শব্দ ছিলো মরার আগেও,
মহামান্য জনতা সে শব্দ শুনেছেন,
কখনো হেলেন কখনো লাইলী,
কখনো শিরিনের বিপরীতে
কখনো এমন শব্দ কি ছিলো প্রেমিকের স্পন্দনে?
এমন কি হতে পারে না, লাশ নয় এ শুধু নিথর দেহ।
পারো যদি একটি হৃদয় এনে দিতে
কেউ যদি ধার দেয় প্রেমে হৃদয়ের একটি ফটোস্ট্যাট:
বাঁচবে প্রেমিক, নতুবা ফসিল হবে।
দেখেছো কি একটি পত্র ফলক
যেখানে বিজ্ঞাপনে বলা আছে “আসুন, হৃদয় অথবা
দান করুন হৃদয়ের একটি ফটোস্ট্যাট।”
সমসাময়িক প্রেমে আজ নিথর প্রেমিক
প্রেমকে বাঁচাবো বলে, খুঁজে ফিরি দশদিক।
আরও পড়ুন – >>> অবশেষে মাছের চোখে…
No Comments