ইদানীং কখনো কখনো তীব্র হ্যালুসিনেশন হচ্ছে।
নদীর ঢেউের মতো উলঙ্গ রমনীর বুক-
ওসকল ওঠানামা দেখে ‘বন্ধ শ্বাসের কষ্টে হাঁপানির টান’ বলে
ভ্রম হলেও ‘আমি এক অন্য জগতে আছি’, এই-‘রূপ’
মানতেই হবে! যেন আমার মনে হচ্ছে,‘অটোসম বাদে জোড়া
যে ক্রমোজম (যাদের একটু অন্যরকম মিউটেশনে
পুরুষ, নারী, ট্রান্সজেন্ডার: সকলের ভাগ্যই
বিকল্প হতে পারে) সেখানে একটা অন্যরকম কোডিং ঢুকে
ক্রমাগত খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে
আমাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।’
তদুপরি, যে সকল অষ্টাদশীর জন্য দিনান্ত যুদ্ধ করেছি
আজ তারা তিরানব্বই এর থুত্থুরে বুড়ি হয়েও অচীন
বীভৎস গুনগুলো ঢুকিয়ে দিচ্ছে প্রজন্মের ক্রমোজমে!
সম্পূর্ণ রঙিণ সাতরঙা বায়োকেমিস্ট
কোন নাবালিকা প্রেমিকার শরীরকে একরকম জোড় করেই
তবুও একান্ত অনিচ্ছায় ছুঁয়ে আছে যেন! এবং
ছুঁয়ে আছে তার রিরংসাও..
এবং বাস্তবেও যেহেতু সেই রিরংসার রঙগুলোকে আমি
দেখতে পাচ্ছি, চিনতে পারছি, অতএব কখনোই আমি
বর্ণান্ধ ছিলাম না। তাহলে,
আমার বলা নামের সাথে পড়ুয়াদের নাম মিলছে না কেন?
এমনকি, একদা আমার বাড়ির সামনে যেসকল
দুর্দন্ড পাদপের মৃত্যুদন্ড হয়েছিল, তাদের কেউ কেউ
তৎক্ষনাৎ আমাদেরই চুলোয় গেছে
(বাকিরা যে কে কোন চুলোয় গেছে তা আমি জানি না)!
ওতে আমার কোন দোষ ছিল না। আমি
ভেবেছিলাম,“ ওরা-ও কারো না কারো ভাতের হাড়িতে
উত্তাপ দিলে, আমাদেরই বরং ভালো!’
সেই ওরাই এখন আমার হাড়-মাংসে উত্তাপের
হিসাব চাইছে!
কেন আমার খেরো খাতার অতিরিক্ত জাবেদার সাথে
পড়ুয়াদের ওই জাবেদা একদমই মিলছে না? কেন?
যেভাবেই হোক,
কালে-কালে যে সভ্যতা আমি জিতেছি বনপথের উপর
আগুন জ্বালিয়ে, কয়লা থেকে বিদ্যুৎ হয়ে উঠে, চাকায়
পিষ্ট হয়ে অথবা গড়গড়িয়ে
(প্রাণপ্রিয় সুরিয়ালিজমের পাখায় ভর করে)…
একদম অন্যরকম হয়ে সেই দূরন্ত সভ্যতার রুপে
ভনভন করছে কী-ই সব বিরক্তকর ড্রসফিলা মাছি। উফ্!
ইদানীং কখনো কখনো তীব্র হ্যালুসিনেশন হচ্ছে এবং
প্রচ- হ্যালুসিনেশন ছাড়া এসকল আর কীই বা হতে পারে?
‘ভুতে ধরা ডাইনির যাদুর জামানা’ সে কি আর আছে?
আছে নাকি?
No Comments