‘খুব ভালোবাসি তোমায়’, বলেছিলাম।
সময় এমনই ছিল, ছিল নজর ভালোবাসবার মতো।
সুকোমল প্রেমটুকু কাউকে না কাউকে তো
দিতেই হতো সুকুমার প্রীতি উপহারে।
‘তোমাকেই ছুঁতে চাই’
মানসিক-শারীরিক রাসায়ন-
কাউকে-না-কাউকে তো ছুঁতেই হতো।
তোমার জন্য যুদ্ধে নেমেছিলাম।
তোমার জন্য রাগ, বিরোধ, বিবাগ
মন ও দেহের দিকে চেয়ে।
বলেছিলাম, ‘এবার বসন্তে হবে
আমাদের বাসন্তী মেলা…।’ বলেছিলাম,
‘মিলেমিশে এসো প্রিয়
দেহ মনে একজোট হই।’
এ সকল আবশ্যিক ছিল।
কোনো একদিন সীমান্ত ছাড়াবো আমি, ছেড়ে যাব
গোধূলির পার।
এ-ও অতি আবশ্যিক বটে ।
রাখো আড়াল থাকো দূরে; জীবনের যায় আসে না।
এ জীবন ভিক্ষার আমদানি নয়।
ভিক্ষার ধান চালে রুচি,
কিড়েপোকা বাছার সময়, অবকাশ কোনোটাই ছিল না আমার।
ভেঙে ঘুম অন্নের খোঁজে ফসলের মাঠে,
তৃপ্তির সন্ধানে দেহেরই অরণ্যে
দুপুর রাতে আমাকেও ফিরতেই হয়-
একদিন নিয়ম বলেই, আমাকেও পুড়তেই হবে
পোড়া মুখ পুড়েছে তো কবে…
মুখপোড়া মরেনি বলেই বুঝি
সকলেই মরা মুখ,
সকলেই পোড়া মুখ, ঠেলে দেয়! সকলেই
ঠেলে দেয় বলে, তোমাকেও ঠেলে দিতে হবে?
‘সাদা শাড়ি লালপেড়ে’, তুমি আর ‘সাদা থান’ হবে কবে!
আরো পড়ুন: বাড়ি যাচ্ছি
1 Comment