ঠাকু’মা ছিলেন রান্নাঘরের রাণী।
প্রশংসা বলতে তাঁর রান্নার, অতুলনীয় স্বাদের খাবার-
পোস্টিং রান্নাঘরে ফিক্সড।
মা আসলেন;
ঠাকু’মার পদোন্নতি হলো। তিনি হেড রাঁধুনি হলেন;
মা বাটুনি হলেন।
আমাদের জন্মের পর বাটুনি বেড়েছে;
কাকাদের বিয়ে হয়েছে;
কর্মকর্তা ট্রান্সফার হয়েছেন অন্যান্য ব্রাঞ্চে।
ততদিনে পিসিদেরও বিয়ে হয়ে গেছে,
তথাপিও ঠাকু’মা হেড রাঁধুনিই রইলেন।
সকলে আমাদের বাবা-মায়ের সন্তানতুল্য বলে,
মায়েরও প্র্রমোশন হলো।
ঠাকু’মা সস্নেহে বললেন,
‘অত বাটা-বাটি কাটা-কুটি ছোট মানুষেরা কী পারে?’
মা তাই রাঁধুনি হয়েও বাটুনিই রইলেন।
‘অযথা বকবক, কেউ-ই শুনবে না’, গিন্নী বলছিলেন।
তবু মনের তাগিদে লিখছি( যদিও অন্তঃপ্রাণ অখুশি)।
যাহোক,
বার্ধক্য ও মৃত্যুজনিত কারণে ঠাকু’মার অবসর-
একসময় অবশ্য পদোন্নতি পেয়ে
তিনি উপদেষ্টা হয়েছিলেন;
অতীতের গল্প শোনাতে শোনাতে
উপদেষ্টা ঘুঁটে দিতেন দু’একবার ।
সংসারে যখন ব্রাঞ্চ বাড়ল,
নিজের ঘরে ব্রাঞ্চ রাঁধুনি হলেন মা।
পদ একই থাকল;
বাড়তে থাকলো দক্ষতা, অভিজ্ঞতা।
আমার বিয়ের পর তিনি সঙ্গী পেলেন বটে
কিন্তু প্রমোশন আর তার হলো না। কিছুদিন বাটাবাটি করে
ব্রাঞ্চের হেড রাঁধুনি হলেন গিন্নী স্বল্প সময়ে।
ঠাকু’মা অবসরে তবু মায়ের প্রমোশন ঝুলে আছে।
মায়ের পদোন্নতি হয়নি তবু গিন্নীর প্রমোশন হয়েছে।
তবে সবাই একই কাজ করে চলেছেন
পদোন্নতিপ্রাপ্ত অথবা জুনিয়রেরা।
আরো জানুন: প্রভু পাছা রাখলেন
2 Comments