প্রথমে ভেবেছিলাম, ‘তোমাকে মনে না পড়া-ই ভালো, শান্তির!’
অথচ হঠাৎ মনে হলো, ‘আমাদের দেখা হলে-ই
চোখ জুড়াবে বুঝি!’ তোমায় মনে পড়ল, দেখলাম-ও
তারপর মনে হলো,
‘ইস্! তোমায় জড়িয়ে যদি পিষেও নিতাম বুকে।’
পুরোনো ভিটায়: পরিত্যক্ত, কালচে বাঁশের খুঁটিটাকে-
জড়িয়ে ছিল ‘কাল-কেউটে’! (ওদেরতো কেউ
বারণ করেনি।)
একদিন, আমিও জড়ালাম। আমি-ও পুড়লাম; পোড়ালাম।
তোমার গাল ঘষে দিল আমার চোয়াল,
আমার নাক ক্রমশঃ ডুবে গেল তোমার তুলোয়; ক্রমাগত
সেঁদিয়ে, ডুবে যেতে যেতে: রক্তের সাথে নেশা,
মাংসের সাথে আশা; মিশে যেয়ে হাড়ের সাথে প্রেম,
বেশ কিছুকাল আমিও একরকম তুমি হয়েই বাঁচলাম!
তারপর, বহুদিন পর…
বাসা আর ভালো নেই: আর কোন নেশা নেই,
আর মেলামেশা নেই!
মিলে-মিশে যাবার নেশায়: মাঝে মাঝে মুক্তিও খুঁজি !
(আমি বরং, গোলচত্বরে থাকি; চৌরাস্তায় এখন
আর কুলোচ্ছে না!
কেন মাত্র চারটি দিকে যাবো? মন আমার সবদিকে যায়:
পৃথিবী ছাড়িয়ে গেলে গোল গোল ঘোরে!)
No Comments