বাড়ীটার অতি প্রিয় চোখ দেখেছি আবার!
বন কাঁঠালের গাছ নিজ হাতে আবারও ছুঁয়েছি!
অযত্নে শুকিয়ে আসা শিউলির চারা, ওর কাছে
আরো একবার, জানতে চেয়েছি আমি পুনরায়,
‘কেমন আছিস!’
একান্ত নিজস্ব মায়ের হাতে ভরপেট ভাত খেয়ে
তৃপ্তির তুলেছি ঢেঁকুর। আয়েশে এলিয়ে গা প্রিয় বিছানায়
নিয়েছি বিশ্রাম; বহুদিন পর।
বহুদিন পর, স্নেহের অমন মায়াবী বন্যা ছাপিয়ে
কেন তবে দামী হলো ‘ফিরতি টিকিট’!
যদিও এখানে আছে সুতীব্র টান,
যদিও ওখানে আমার: কেউই নেই!
ওরা শুধু শ্রম কিনে ছুড়ে দেয় কিছু বিনিময়! তবু
যে আমি ক্লিষ্ট ক্ষুধায়…যে আমি পিয়াসী তাকেও
হুবহু আমার অনাহারী পিতার মতোন
হুবহু নিজস্ব পিতার মতোন
রুদ্ধশ্বাসে, একই পরম্পরায়-ছুটতেই হবে।
আমাকেও যেতে হবে! যেতে হবে আমাকেও।
তবুও একান্ত স্বাধীন ইচ্ছেমতো জেগে থেকে বাকি রাত,
রাত পোহাবার আগে আরো কিছু একান্ত সময় স্বেচ্ছায়
আমিতো কাটাতেই পারি!
এখনো ভাতের কাছে আমার এই টুকরো স্বাধীনতা-
আমি বিক্রি করিনি।
No Comments