আমার কোনো-চক নেই! ডাষ্টার নেই!
ব্লাকবোর্ডে আর আমি লিখি না!
স্কুল নেই, ক্লাস নেই! সকালের ঠান্ডা রোদে
আর আমার এসেম্বলি নেই!
যখন আমি বুকে নিয়ে নতুন কিশলয় অ, আ, ক, খ শেখাতাম-
এই তোমরাই-তোমরাই তো বলেছিলে,
‘ভরপেট-বিদ্যে কি জলে গুলে খাওয়ালি-রে হতচ্ছাড়া?’
আমার বাজারের ব্যাগে ইলিশ ওঠেনি তখন।
তবু লাল কালো বাইসাইকেলে ইলিশের ঝাঁক নয়
দিব্য সে কচিমুখ দেবশিশুগন: পাড়ি দিতো সুদীর্ঘ-মাইল।
বুকে বয়ে শত-সন্তান
হাত-ধরে আলোটুকু জ্বেলে দেওয়া আমি, আজ আর
বেঁচে যেনো নেই, সে সকল সন্তান আর আমার নয়!
অথচ ‘অ’ আছে, ‘আ’ আছে, ‘ক’ আছে, ‘খ’ আছে।
জানি না ওদের আমাকেও মনে আছে কিনা!
এখনো কি সালামের রেওয়াজটা আছে?
এখনো কি গুরুবর ঋষি কারো মনে?
শিশুরা পণ্য ভেবে বিদ্যে কি কেনে?
কি জানি কী কেনে, কি জানি কী কিনে নেয় ওরা,
আত্মা বোধহয়, শুধু আমাকে কেনে না আর শিশু-কিশলয়!
No Comments