অনেকেই অঢেল কাপড় পেঁচিয়ে মরে;
অনেকেই কাপড়ের নিচে নিত্য উলঙ্গ।
বিশেষতঃ শীতে জনতা উলঙ্গ নয়; হয় যদি: ওটুকু অভাব।
এবং গ্রীষ্মে, দুপুরের ঠাঁ-ঠাঁ রোদে কেউ যদি পোহায় রোদ্দুর:
হতে পারে গাছ নেই, হতে পারে ছায়া মরে গেছে।
পরিপাটি পোষাকের গিঁট কেউ যদি খুলে নিয়ে যায়
‘বুভুক্ষু কুকুরের মতো শীতে কি গ্রীষ্মে, ভরা রাস্তায়
দৌড়াতে বাধ্য করে’-ওটুকুর নাম: হতে পারে শত্রুতা,
হতে পারে জনরোষ।
কার-কার, কী-কী, কোনটা যে কেন হয় কে জানে!
তুমি জানো? আপনি, আপনারা?
এ সকল হতে পারে! কেন পারে হতে?
কেন-ইবা হতে পারে, হ্যাঁ?
হ্যাঁ, হতে পারে চোখের; হতে পারে বাঁকা-বাঁকা ঘুনে ধরা
মেরুদন্ডের দোষে…
অনেকেই জন্মান্ধ নয়।
অনেকেই আজীবন কুঁজো হয়ে আছে।
প্রাণপণে দৌড়ানো মানুষ ক্রমশঃ মরে চকিতে মৃত্যুর ভয়ে
হয়ে যায় হৈম শৃগাল! জোয়ারের মতো উদ্ধত লাঠির মিছিল
উড়ে চলা শেয়ালের পেছনে লুকায়। বলছি শুনুন,
‘কুঁজোদের বাঁকা পিঠ কখনোই চিত হয়ে শুতে পাবে না।
শেয়ালেরা কুঁজো নয়, কেউ তারা জন্মান্ধ নয়,
কুঁজোরা শেয়াল হতে পারে না।’
জেনে যান,
“বুভুক্ষু কুকুরের নামে গেঁয়ো অভিমানে ভুল বলা আছে।
হৈমন্তিক শৃগালের নামে গেঁয়ো অভিমানে ভুল বলা আছে।
কুঁজোদের অভিযোগও ঠিক-ঠিক লেখা হয়নি।
অভাবে, স্বভাবে, মাদকতায়, পেষনে এবং প্রেষণে:
যার যে কারণে যাই ঘটে থাকুক
নিজ নিজ প্রতিশব্দের ডাইরিতে লিখে নিন ‘উলঙ্গ’,
‘উলঙ্গ’, ‘উলঙ্গ’, ‘উলঙ্গ’-‘ন্যাংটা’।”
No Comments