বোঝা হয়ে ছিলো!
কারো কারো আঙ্গুলে আংটি মানায় না।
এক ছিলো ছাদনাতলার যুগ, সেই থেকে চকচকে
আংটিটা হাতে পরে আছি।
চকচকে জীবনের রঙ জ্বলে জ্বলে ফিকে হলো;
চকচকে মিঠেরোদ তমসায় মরে যেয়ে হলো কালঘুম।
কিছু কিছু অসময় থাকে কাউকেই কিছুতেই বাঁধে না-
একদিন মরা মুখ মুছে দিতে বাঁধেনি যেমন!
মনে আছে, সেই কবে দিকে দিকে একদিন রটেছিলো,
‘জীবনের সুতো নাকি একসাথে বাঁধা?’
আমাদের হলো না গো একসাথে বাঁচা;
একসাথে মরাটাও হলো না।
আমাদের একরঙা সাদা-কালো ছবি,
‘ফুল দিয়ে কাঁদবে যে কেউ’-
হলো না তেমনও!
আজ সেই মরণের আংটিটা বেচে,
তবু কিছু চাল হলো ডাল হলো;
পাখি হয়ে দানাগুলো একসাথে খাওয়া তবু হলো না।
বেশ হলো: এই হাতে রইলো না আর কোনো বোঝা!
‘পাথর বুকের বোঝা’, কী এমন বেশি আর বলো!
No Comments