চল্লিশোর্ধ্ব চোয়ালের হাড়গুলো শক্ত হয় (শিশুর পেলবতা তাতে
কোথায় পাবে?)।
তবুও চুমুক দাও! ভেবে নাও,
‘কড়া আগুনে ঝলসানো উত্তম পানপাত্র কোন!’ কাক্সিক্ষত
সকল সুধা এখানে একত্রে তুমিতো পেতেই পারো!
এখানে একজন যুবক এখনো ফুরিয়ে যাননি।
এখানে একজন পৌঢ়ের ছায়াকেও তুমি পাবে।
এক বা একাধিক-শিশুর পিতাকেও পাওয়া যাবে এইখানে;
যে কিনা ভবিষ্যত লালন করে ক্রমশঃ পরিবর্তিত হচ্ছে
(গুঢ় কোন বিশুদ্ধ সত্তার) শুদ্ধস্বরে।
চল্লিশতম চোয়ালে এই প্রলম্বিত চুম্বনকে
আদ্য, মধ্য এবং সমাপ্তির (শৈশবে অথবা নতুন জন্মে,
যৌবন মহাসঙ্গীতে, মৃত্যুতে এমনকি স্মৃতিতেও) পূর্ণ ঘনীভূত
তলানির মতো সত্যের আধার ভেবে
ব্যাকুল পানপাত্রে স্বাদমতো
স্বাধীন চুমুক তুমিতো দিতেই পারো! পারো না কি, হেমলক?
No Comments