(১)
নিদ্রা গেলি! পোড়ারমুখো, ঝাঁপ দিবিনে?
কীইবা নিলি নিবিড়ভাবে কেড়ে!
(২)
ঘাসফুল কেনা হলো, কেনা হলো কতক গোলাপ;
যে যখন ঝরে যায় যাক।
আমার শরীর; আমার নরক।
(৩)
ঠোঁট ক্রমশ গোল হয়ে আসছে;
ঠোঁটে ঠোঁট চেপে, যে কোন বৃত্তে-ঠোঁটের সংযম
ক্রমশ অধীর।
ক্রমশ বিবশ হচ্ছি।
(৪)
ক্ুঁকড়ে গেছো, পদ্মজবা-শ্বেত শালিকের ডাকে?
এখন জীবন দুপুর দুপুর; জিরিয়ে নেবার ফাঁকে
কাঠের কোকিল গান গেয়ে যায় রোজ।
কিচ্ছু বলি না; সবই নাকি মোহ!
(৫)
কবি এক’ কৃষকের মতো… কবিতা পচনশীল।
চাঁদটা যে আধখাওয়া!
চোখে পড়েনি-তো!
(৬)
কেউ যদি না এগোয় মন টানলে
শরীর আসে!
বুনো গাছ ছেঁটে দিতে দিতে-
পাহাড় আর চেনে না বনৌষধি।
(৭)
এমতাবস্থায়, কবি বলছিলেন, “একখানা বই বিক্রি হলে
সকালের চা আর নান রুটিটা-হতো!”
অতঃপর, ঝোলা হাতে নিয়ে-কবিও চলে গেলেন।
No Comments