যদিও যতবার বিধবা হয়েছি ততবার তুমি-ই জন্মেছ: এমনটা নয়। তবে,
সম্পর্কিত প্রতিটি পিতার
কখনোই অতোটাও সন্তানাকাঙ্খা ছিল না,
যতোটা আকাঙ্খা ছিল প্রকৃতিকে উলঙ্গ করার।
ক্ষেত্রজ ফসলের মাঠে যা সত্য, মুলতঃ গর্ভেও তা-ই।
বিবিধ সময়ের চাপে, আকাঙ্ক্ষার বাইরে, ক্লান্ত হলে অথবা কেউ হঠাৎ তোমার অস্তিত্ব টের পেয়ে গেলে:
কী আর করার আছে? কী আর করা…!
উড়ুক্কু জীবনে অনেকতো হলো, এবারে নাহয় হোক
প্রাণের উদয়!
প্রাণের লিঙ্গ দেখে
আমি যে খুশি বা অখুশি কোনটাই হইনি তা-তো নয়! এবং
জন্মে তোমার, নিজস্ব পরিচয়-ই খুঁজেছি মুলতঃ। মুলতঃ এ পৃথিবীতে নিজস্ব জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা
সর্বাগ্রে প্রয়োজন।
নিঃসঙ্কোচে আমিও ভুলে যেতে পারি ভূপতিত অথবা মৃত যে-কোন সন্তান।
তবুও আমি নিশ্চিত: সে সময় আমার মৃত্যু হলে,
যে সকল বিপদে তুমি পরতেও পারতে সেগুলোকে মনে করে আমাকে তুমি ধন্যবাদ-ই দেবে।
যদিও আমার নিজস্ব মনুষ্যত্বের সঙ্গা তোমার মধ্যে পুরে দিয়ে আমিও কৃতার্থ হতে চেয়েছি বারংবার।
এই পাঁকের দুনিয়ায় আদর্শায়নের বাতিক মানেই যে বাতুলতা,
পাঁকের এই দুনিয়ায়
আদর্শায়নের বাতিক মানেই যে বিরাট বিতর্ক: আশা করি তুমিও তা বুঝবে।
No Comments