এইসব ভালোলাগা প্রশান্তির মৃত্যুর মতো

সকল কবিতা By 11 months ago 1 Comment
0
(0)

জলরাশির অতল বুকে ভাসছি কেবল।
লোকালয়ের বাতিগুলো যেন জোনাকি পোকা,
ওরা কি ছড়ায় উত্তাপ ?
এখন উত্তাপ আর আলোর সাথে সখ্যতা প্রয়োজন।
এ আয়োজন শীতের ইলশেগুঁড়ি মাথায়
অতলে ভাসার;
মাথা রেখে প্রকৃিতর কোলে প্রশান্তির আশ্বাসে।
জীবনের আস্বাদ নোনাজলে মিঠে করে নিতে।

ক্লান্ত কি কবি ?
চোখ আর মন বলছে কি দু’রকম?
আপাততঃ বাদাবনের মুগ্ধতায় মগ্ন কবি,
রাতের স্নিগ্ধ নিস্তব্ধতা সাথী করে জলে ভাসে।
ভেসে চলা অনন্ত আনন্দের মাঝে কবি হাসে।

মোহনার ঘোলাজল বেয়ে সাগরের নোনাজলে
ভেদ করে রাতের আঁধার, নিশীথ গহ্বরে।
যে জাহাজ সাঁতরায়
কবি তার যাত্রাসঙ্গী আজ।

নিস্তব্ধতায় শোনা যায় প্রতিটি স্পন্দন,
নদীরও তেমনই আছে–
অনুভবে আমি তার নাড়ী ছেঁড়া ধন।

কয়েক পশলা বৃষ্টির পর,
ইষৎ শীতল আমেজ বাতাসে ওড়ে,
আহা কতোকাল বুক ভরা জোটেনি বাতাস!

যে বাতাস নির্মল,
যে বাতাস প্রশান্তির শ্বাস,
তার মাঝে কিছুটা সময় স্বর্গীয় জীবনের স্বাদ–
এখানে ফেরার তারণা নেই,
ঠিকানা খোঁজাও জরূরী নয়,
এখানে জীবন বয়ে চলা নদী শুধু ।

সাজানো ডেক ছেড়ে, পরিপাটি ও ছোট্ট ঘরটাতে এলাম।
জানালাকে ফাঁকি দিয়ে, স্থির আলোগুলো দূরে সরে যাচ্ছে।
লোকালয় থেকে দূরে, বয়ে চলে যাচ্ছে আলাদা জীবন।

এমন নদীর প্রেমে,
কেটে গেলে অনেক জীবন, বেশ হতো।
এই সব ভালোলাগা প্রশান্তির মৃত্যুর মতো।

আরও পড়ুন – >>> দাগ

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.

Author

তন্ময় সাহা(১৯৮৩)–জন্ম বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে খ্যাত কুষ্টিয়া জেলায়, কুষ্টিয়ায় বেড়ে ওঠা, শৈশব কেটেছে, কৈশোরেও তার কুষ্টিয়া আর গড়াই নদীর মাখামাখি। তারপর লেখাপড়া ও কর্মসূত্রে বহুদিন ধরে খুলনায় বসবাস। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি এন্ড জিনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক, বায়োটেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা হতে। এরপর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সিকিউটিভ এমবিএ (এইচ আর এম) সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও তিনি ‘দি ফ্লেচার স্কুল অফ ল’ এন্ড ডিপ্লোম্যাসি; টাফ্ট ইউনিভার্সিটি কর্তৃক ডিজিটাল ফিন্যান্স প্যাকটিশনার হিসাবে সনদপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি উপপরিচালক হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক, খুলনায় কর্মরত আছেন। লেখালিখি চলেছে বিক্ষিপ্তভাবে, শখে, আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হলে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যুক্ত ছিলেন নাট্যদল ‘থিয়েটার নিপূণ’ এবং বিজ্ঞান পত্রিকা ‘বায়োটকের’ সাথে। বই, বাংলা সাহিত্য হলো তার ভালোবাসা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া প্রতিযোগীতায় স্কুল পর্যায়ে পাওয়া সার্টিফিকেট আর উপহারে পাওয়া বইগুলোকে আজও অতি যত্নে রেখেছেন, নিজস্ব বুকসেলফে। মুলতঃ কবিতা লেখার শখ, টুকটাক গদ্য লেখারও চেষ্টা চলে। বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত কবিতাগুলি সহ সোস্যালমিডিয়া, টুকরো কাগজ আর ডাইরিগুলোর পাতা থেকে অদুর অতীতে লেখা নিজের পছন্দের বেশ কিছু কবিতা মলাটবন্দী করে, আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন হোরাসের চোখ, বিবিধ ঘোড়সওয়ার ও কালো মেম কাব্যগ্রন্থে।

1 Comment

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!