ছেলেটা ডাকলো, “বন্ধু”। মেয়েটা বললো
“না! কী করে বন্ধু হতে পারো?
দেখো, আমার ওয়ারড্রফের সবগুলো ড্রয়ার
সার্টিফিকেট আর পুরস্কারে ঠাঁসা;
দূর থেকে সালাম দিয়েই বিদায় নাও!”
ছেলেটা আবার ডাকলো, “বন্ধু”। মেয়েটা বললো,
“ছো! আমি পদস্থ, তোমাকে আমি দেখেও দেখি না,
তুমি আমার পাদুকা কি শিবিকাবহ হতে পারো।
আমি, দু’মুঠো পয়সা ছড়িয়ে বলবো
ধনিক শ্রেণী গোলাম পোষে।”
বড়জোড় ম্যাডাম বলতে পারো। তবে
মাথা থাকবে, হাঁটুর কাছাকাছি;
নম্রতা শেখোনি, যাকে বলে পোলাইটনেস।”
ছেলেটা আবার ডাকলো, “বন্ধু”। মেয়েটা বললো,
“বেয়াদপ, ইডিয়েট, দুর্গন্ধ যতো
নর্দমা ফুুড়ে বেড়োয় বেড়োক
মুখ থেকে আর যেন একটিও না বেড়োয় উচ্চারণ।
ক্যাফে, নাইট ক্লাব র্সবত্র সমান জনপ্রিয় আমি, জানিস?
বড়জোড় জ্বী বলতে পারো;
জানা থাকা ভালো, আমার কুকুরও জাতে অ্যালসেশিয়ান।”
ছেলেটা বললো ‘ভালো-ই’, ছেলেটা বললো ‘ব্রাভো’।
নাটকটা জমবে ভালো, কুশীলবেরা বললেন।
শিল্পী যুগল এভাবেই ব্যঙ্গ করেছিলো মঞ্চে।
আরো পড়ুন: হুলো বিড়াল রক্ত খোঁজে
1 Comment