Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

হিসাব মেলেনি

যার কাঁদার তাকে আর কি দিয়ে প্রবোধ দেবো? অনন্ত দুঃখ তাড়া করে পরাজিত হয়ে মালা পরে সম্রাট হলাম যে, কাঁদবো না বল, তাও কি হয়? একদিন ঠিক করলাম অনেক তো হলো- ভাবলাম, ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যে সকাল হলো; প্রিয় মুখগুলো ভেসে এলো রেটিনায়। অবশ্য, সে সকল মুখগুলো আমাকে তাদের প্রিয় বলেনি কখনো; এটা লেখা থাক ব্যর্থতার খতিয়ানে। ভালোলাগাগুলো গোনো, খাতার যে…

জ্যামিতিক প্রমাণে অপ্রমাণিত

কিছু বিশ্বাস- মনের মাটিতে শেঁকড় ছড়িয়ে আছে; কিছু বিশ্বাস জ্যামিতিক প্রমাণে প্রমাণিত নয়। মানুষ আঁকড়ে আছে, মানুষকে আঁকড়ে আছে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ, অতীব গোপন এবং সম্পূর্ণ নিজস্ব পূর্ণিমা। আরো পড়ুন: আঁচল প্রণয় বিজ্ঞাপন

আঁচল প্রণয়

ধরিত্রীর ক্ষুদ্র বীর পেয়েছে জীবন, নীল সে শিশু, নীল উৎপল বেড়ে ওঠে আঁচলের নীলাভ ছায়ায়। দিনে দিনে বেঁধে নেয় অদৃশ্য বাঁধনে, বেড়ি বাঁধে আঁচলের মায়া; ব্যথা পায় চরণে চরণে। দীপজ্বলা মুখে জ্বলে যায় চোখের কাজল, খুঁজে নেয় সুখ: সে আঁচলে, শান্ত নীড়ে- আশ্রিত যুবক। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সখ্য, অনেকেরই ইচ্ছা ছিলো সময়ের স্রোত এনে দিক আঁচল- বিজয়। ভীষণ আঁচল…

মধ্য রাত্রির কবিতা

এরকম মধ্যরাতে, যদিও চেতনায় মিশে গেছি তোমার ঠোঁটের কোণে, মোনালিসা-হাসি কেন তবু আমাকে ভাবায়? নির্জন এই চরাচরে তুমি যেন প্রাণী একমাত্র । প্রেয়সী ও বাস্তব; আঁকা ছবি নয়। তবুও ঠোঁটের হাসি, এতোখানি– দুর্বোধ্য কেন? কেন মনে চৈত্রের ক্ষরা, বর্ষা প্লাবন? সব কিছু ছেড়ে-ছুঁড়ে এক ফালি হাসি কেন মরীচিকা; সান্নিধ্য– যতোই নিকট হোক, যতোই নিরবচ্ছিন্ন হও তুমি; অবশ্যই, সুখী মধ্যরাত যোজন…

গ্রীষ্মের খরতাপে

ঋতুর প্রথম সন্তান মরেছে খরতাপে, তবুও বাগান বিলাসীর রঙ লাল বকুলের সৌরভ অন্তরে ছড়ানো আছে। এভাবেই কেটে যায় দগ্ধ প্রহর। কচি আম, কাঁঠালের জ্বালা বুকে নিয়ে বটের ছায়ায় শুয়ে আছে গ্রামীণ রাখাল। যুবতীর বয়ে আনা পান্তায় কৃষকের হৃদয় জুড়ায়। তুমি আনো ঝড়, তুমি আসো কালে বৈশাখী সাথে নিয়ে। ফাটা মাঠ চৌচির হয়ে আছে, লাঙলে নতুন করে চিরে দিয়ো মাটি, সন্ধ্যায়…

কেউ তাকে চেনো কি?

চোখ দেখে তার ভিড়েছে তরীটা তীরে, তার মাঝে কার হৃদয় হারালো ভিড়ে? চোখে তার ছিলো নীলবর্ণ অন্ধকার, অমানিশা কালি, তরী কার নীড়ে ফেরে নি রে ? চুলের বন্যা তার ব্যথাতুর যন্ত্রণার নিদারুণ হাহাকার, তার মাঝে ডুবে গেছে ভোর। তাড়ন আদলে ঝটিকা বাদলে শুভ্র শিতল শিল পড়নে কাপড় মনে হয় যেন, শাপলা ফোটানো ঝিল, তার মাঝে কার হৃদয় হারালো বলো? কার…

মধ্যরাতে

মধ্যরাতে যুবতীর পাশে অন্তরাত্মা যেমন কাঁপে সুপ্রিয় মধ্যরাত, তোমাকে মনে করে দিনশেষে আমিও তেমন-ই কাঁপি। পাহাড় ডিঙানো ভালোবাসা পাহাড়কে ডিঙোতে বলে, নিঃশব্দে বাড়াই পা অটুট পায়ের গোড়ালিতে ভাঙন ধরাই না। ভালোলাগা অমাবস্যার মতো রাতে ঘুরে আসি হাড়ের অলিগলি। হৃদয়ের সবটুকু সুখ কেড়ে নিই একটু একটু করে, তোমাকেই মনে পরে: বুকের জমিনে যখন– কলের লাঙ্গলখানি চালাবার মতো– জো আসে। মধ্যরাতে যুবতীর…

আমার জগৎ খুঁজি

এক জগতে আমার যেন তৃপ্তি হয় না- জগতের জমিন হবে বুকের মতো মস্ত। পাহাড় আর টিলার চূড়ায় দাঁড়িয়ে থাকবো এক পায়ে। সামনে তাকিয়ে দেখবো, বজরার ক্ষেত। সীমান্তে থাকবে সবুজের শেষ রেখা। বাস্তব কখনো স্বপ্নে খোঁজা যায় না। আরো পড়ুন: সীমান্তের শৃঙ্খল বিজ্ঞাপন

সীমান্তের শৃঙ্খল

আর, আর নেই সেই পথ যে পথে হেঁটেছি, নিত্য হারিয়ে গেছি সীমানার দিকে। সীমান্তে সময়ের গণ্ডিটা বেড়েছে বহুগুণ। ছোট ছোট পায়ে বাড়ি হতে বটতলা ছাড়িয়ে সীমান্ত পৃথিবীব্যাপী। অনেক দিন যাইনি পুরাতন বটতলায়। মিলিয়েছে জলের উপর নৌকার দাগ দেয়া পথের মতো। যে পথে জড়ানো আছে অবগাহনের স্মৃতি। সীমানা বেড়েছে, আঙিনায় কাকের সমাগমে হৃদয়ে বিছানো মুক্তির ধান কাকেরা খেয়েছে । আমি তার…

একটি দানবের জাগরণে

ভেতরে দানব আছে। হুংকার ছাড়লে নিজেরই চুলগুলো বেছে ফেলি এক এক করে । নিজেকে ভয় পাই, তবু সে থাকে। নিজের নখর দিয়ে ছিঁড়ে খাই নিজেরই মাংসপিণ্ড, ছোঁয়া লাগে হিংস্রতায় রোমান্টিকতার। চোখ দিয়ে আগুন ছোটে, অমৃত জ্বালিয়ে চাতকের অস্তিত্বে ভেসে ওঠে শকুনির ছায়া। এমতাবস্থায় ইন্দ্রিয়ের এলোপাথাড়ি ব্যবহারে এবং ক্রমাগত অসংগত চলনে অসন্তুষ্ট আমি নিজেই। আরো পড়ুন: হৃদয়ের মতো বিশাল বিজ্ঞাপন

error: Content is protected !!