Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

হৃদয়ের মতো বিশাল

সাগর, তোমার চোখে জল! মুছে ফেলো, ধারা ? হৃদয়ের মতো সুবিশাল জলাধার বুকে নিয়ে, কান্না তোমায় মানায় না। দেখোনি অতৃপ্ত হৃদয়গুলো দুমড়ে গেলেও দমে না, তুমি তো তেমনি সাগর, ডুকরে কেন কাঁদো ? পুরুষ কাঁদে না। বুক চিরে প্রতিদিনই টকটকে লাল রঙা সূর্যটা ওঠে। তোমার বাসনা, তুমি তাকে কখন-ই ডুবতে দেবে না! লালটিপ–আছে ও হারায়। তোমার তো লোনা জলও আছে,…

হোয়াংহের নীল বিষ

মাধবী তোমার চোখের দৃষ্টি দেয়ালে ঢাকা, ঠিক যেন দূর্ভেদ্য চীনের প্রাচীর। না, কোনো ডিনামাইট নেই আমাদের কাছে। চোখ খুললেই দেখি বিরান বধ্যভূমি। মাধবী তোমার দৃষ্টিতে আগের মতোন ঈর্ষা নেই, না পাওয়ার যন্ত্রণা নেই, আকুলতা নেই মোটে। মাধবীর পূণ্যাত্মা প্রেয়সের প্রাচুর্যে ভুলেছে। কে তুমি? কেওকারাডং, অবসরে হিমালয় ভেবে তোমার কি লাভ? মাধবীর চিতা ছোঁবে কি রক্ত পলাশ? সবাইকে কেন চুয়াল্লিশ তলার…

জীবনটা ফুরিয়েই এলো

আমি এক ভালো জীবন চেয়েছিলাম, ঈর্ষায়, সংশয়ে দোলা কোনো দ্বিমুখী জীবন চাইনি। উন্মত্ত ঝোড়ো আবেগ অথবা দেয়ালে ঠেকা গতিহীন পিঠ নিয়ে বয়ে চলা জীবন, কোনো ভালো-জীবনের উদাহরণ নয়। এমন একটি জীবন চেয়েছিলাম আমি যেখানে স্বাধীনতা অঙ্কুশময় নয়, অস্তিত্বহীন নয়, নির্লিপ্ত নয়, ভালোবাসা কোনো স্থবিরতাকেই প্রশয় দিয়ে বুনো নেংটো নৃত্য করায় না। এমন এক জীবন আমি চেয়েছিলাম কোনো ক্ষেদ, নির্বোধের পাগলামী,…

ব্যস্ততম মধ্যরাতে

ব্যস্ততম মধ্যরাতে নগরীর ব্যস্ততম নারী মেতে ওঠে ফুল-শয্যায়, বসন্ত বাহকের চাপে পিষ্ট সুখ ক্রমে ক্রমে বিষাদ হয়ে ওঠে চাপা উত্তেজনায়। গিরিখাদের সৌন্দর্য আর শিল্পিত পথ উৎপাতে, যাতনায় খুঁজে নেয় আনন্দ বিশেষ। আলিঙ্গনে আবদ্ধ পাখি খুঁজে নেয় নতুন আশ্রয়। শূলবিদ্ধ দু’জন মহাসুখে কামনার ঝরনা ঝরায়। আলো নেই, অন্ধকার, সীমান্তে কেউ কেউ প্রকাশ্যে কামদেবতার বাজায় কলিংবেল– এই নিঝুম অথচ ব্যস্ততম মধ্যরাতে। আরো…

সময় চাই না তোমাকে চাই

বিচিত্র মন তোমার, এই বললে সূর্য ওঠে পুবে, এই বলছো সূর্য ডোবে ডোবে। এখন দুপুর, বলেছিলে কিছু আগে; আবার বলছো বেলা নাকি অস্তরাগে। তুমি বললে, “সময়কে বুঝতে দিচ্ছি না, দীর্ঘ নাকি অতি অল্প আয়ু নিয়ে এসেছিলে।” আসলে, তুমি পাশে থাকলে চোখের নিমেষ রাত্রি ভোর হয় দুপুর নিমিষে রাত দুপর হয় । অপেক্ষার পালা হলে, সকাল-সকাল সকাল হয় না যেন, বিকেলগুলো…

ঠোঁটের পদ্য

অদেয় কিছু-ই নেই; কিছু নেই না দেবার মতো। মোহ অথবা প্রেমে, ভেবে অথবা না ভেবে কেবল একটি চুম্বন সে দেবে না। প্রথমে নিষেধ, তারপর অনুরোধ, অতঃপর বিদ্রোহ! এভাবেই রচিত হয় একটি ঠোঁটের পদ্য। শত শত চুম্বন দিয়ে চুম্বকের মতোই টেনেছি। থরথর কেঁপেছে হৃদয়, শতবার পেষণ করেছি বুকে, লজ্জায় লাল হয়ে গেছে দেয়নি তবুও, বাহু থেকে বুকে উপত্যকায় খাঁজে নেমেছে আঙ্গুল…

কতদিনের ক্ষুধার্ত দেখেছো তুমি?

এমন অসহায় কখনও লাগেনি আগে! কেন অনুভব বন্ধনে বাঁধে? আমি কেন অস্থিরতায় মরি? আমার প্রেমিকারা টেবিলের এক কোণে চুপচাপ বসে ছিলো। কত রাত র্নিঘুম কাটিয়েছি হাতে নিয়ে প্রেমিকার বাড়ানো দু’হাত। রাতভর ব্যবচ্ছেদ শেষেও ভোর-ভোর অনেকেই এসেছিলো । আজ কেন ও সকল লাগছে না ভালো? প্রেমিকার ফুরোয়নি রস। কথা ফুরোলে আর কেউ বলুক নাহয়… কতদিনের ক্ষুধার্ত দেখেছো তুমি সাত দশ ত্রিশ……

মুক্তি

পুরোনো অনাবৃষ্টির পর বৃষ্টি এলে, ভরলো কি খাল-বিল, ডোবা-নালা সে বিচার কে করে? মুক্তির প্রয়োজনে, মুক্তির ছোট-বড়, আমিও করি না বিচার। আরো পড়ুন: সাধ নেই বিজ্ঞাপন

সাধ নেই

আর কোনো অবসাদ নেই আর কোনো প্রাপ্তিও নেই আর কোন প্রত্যাশা নেই, নেই দ্বেষ, নেই খোঁজাখুঁজি–বিড়ম্বনাও নেই। অনেক অন্বেষণে ইচ্ছে মরেছে, চক্ষু বোঁজার ইচ্ছে মরেছে র্দীঘ অনিদ্রায় । কোনো সুরে-ই গান আর হবে না; কোনো কবিতা-ই  হবে না আবৃত্তি আর। জ্বলুক, মরুক, নিভুক, বাঁচুক–ফিরে আর দেখাদেখি নেই। অনন্যকান্তির সাথে বিশ্রীর শত্রুতা শেষ; হবে না পালন কোনো দিবস বিশেষ । আরো…

দুঃখ থেকে গেলো

দুঃখ থেকে গেলো; তোমাকে খুঁজে পেলাম না। আলোয় খুঁজেছি, খুঁজেছি অন্ধকারেও– হাতড়ে খুঁজেছি, সাঁতরে খুঁজেছি, অলিগলি, আঁতিপাঁতি, মনে মনে, গভীর দর্শনে খুঁজেছি। পুনরায়… গহন বনে একটা পিঁপড়ে যেমন; আচ্ছন্ন ঘুমে পিনপতনের শব্দ যেমন; মজুরের কলের গানে কাশির শব্দ যেমন–উপেক্ষিত, তেমনই উপেক্ষিত আত্মার অস্তিত্বে তোমায় খুঁজে-খুঁজেও: পেলাম না । একটাই দুঃখ থেকে গেল মনের গহনে: তোমাকে খুঁজে না পাওয়ার। আরো পড়ুন:…

error: Content is protected !!