Category

সকল কবিতা

কবি তন্ময় সাহা এর সমগ্র লিখনি পেতে আমরা আছি আপনার সাথে। কবি তন্ময় সাহা রচনা সমগ্র দেখুন এবং পড়ুন।

ক্ষণজন্মা ভালোবাসা

তোমার আঁচল তোমারই, ওখানে এখন বিরক্ত মেজাজ বেঁধেছে বাসা। দিন শেষে গোধূলির বিশ্রাম ঠিকানা ছিলো, তোমার আঁচল। ঠিক আছে, গোধূলির ধূলিকে বলে দেবো এখানে এসো না আর, এখানে এখন অন্য কেউ মুখ লুকায়। আশা তোমার মজেছে প্রতারক প্রেমে, মরেছে ক্ষণজন্মা ভালোবাসা ক্যান্সারে। তোমার আঁচল তোমারই, তোমার মগজ অন্যকারো। আরো পড়ুন: ছেলেটা বললো মেয়েটা বললো বিজ্ঞাপন

সোনালি মাছরাঙা

দু’চোখে আমার তুমিই সপ্তডিঙা, সোনালী মাছরাঙা। মাছ শিকারের পাখি, মাছের নামেও স্বপ্ন ধরো। আমার মতন এমন প্রেমিক, স্বপ্নে ধরো স্বপ্নে মারো। আরো পড়ুন: ক্ষণজন্মা ভালোবাসা বিজ্ঞাপন

হুলো বিড়াল রক্ত খোঁজে

আমি জানি, ওইখানে, ওই কাঁটা ঝোপটার পাশে এখনও বসন্ত আসে, এখনও যুবক মুখোমুখি বসে– স্বপ্নই দেখে। একে একে পথিকেরা চলে যায় উন্মুক্ত সভ্যতার দিকে। ওরা ভাবে এইতো আড়াল, এভাবেই যদি যায় যাক না সময়, প্রহরের কে কবে মেনেছে বার্তা। আমি জানি ওইখানে বসে আছে সাদাটে কপত, আঁধারে, কালোতে, হুলো বিড়াল রক্তই খোঁজে। কপতের অদর্শনে হুলোও নায়ক হলে আমিই হতাম রাজা!…

অনেক দিনের পর

অনেক দিনের পর মুছে গেলো স্মৃতি, ছিঁড়ে গেলো বন্ধন–চিহ্ন সকল। অনেক দিনের পর শত শত জয় কোলে নিয়ে, হয়েছো সফল! পয়ার ছন্দ ঘিরে তোমার গুণগান বিদ্বান তুমি–জগতের পর! হাসলাম– প্রাণ খুলে, অনেক দিনের পর। এখানে আঁধার তাতে কী হলো তোমার? দেখো খুঁজে আর– নেবে কী। আঁধারের আলো নিলে হয় লাভ কার? আলো নিভে গেলো, ঘোচেনি আঁধার। আমার যুদ্ধ নেই; কোন…

মিশকালো দুঃখ নিশান

দেখে নাও ঐ দূরে পৃথিবীর মন– আকাশে লেপ্টে আছে নীল, নীল শাদা মিলে অপরূপ মাখামাখি চলে। কালো মেঘ ঢেকে দেয় নীলমণি-মুখ, দিয়ে যায় বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেখানে জীবন খুঁজে নেয় নীল পাণ্ডুলিপি, লেখা হতে থাকে, এক ঝাঁক কাক হয়ে নামে বিন্দু কতক কালো কালি; ফোঁটা ফোঁটা মেঘ এসে বলে: দেখো, জীবন এনেছি আমি, এনেছি জলোচ্ছ্বাস। উচ্ছ্বাসে আবৃত্তি ক’রে কবি নজরুল, স্বেচ্ছায়…

বিচার

ভয় কণ্ঠস্থ করেও, চারদিক দেখে নিলাম আমি। দু’জন পাহারাদার শিকলের মতো আঁকড়ে আছে– আমার হাত, “মহামান্য রাজা, এখানে আমাকে ধরে আনা– কেন?” আচমকা সামনের সিংহাসন থেকে সিংহের আওয়াজ ভেসে এলো। “চোপড়ও–এখন তুমি মৃত, অতএব তোমার বিচার হবেই।” আমার চোখে, তখন ছিল বিস্ময়– “বিচার! কোন অপরাধের? অভিযুক্ত, আমি!” “সেটা জানতেই তোমাকে আনা হয়েছে। যদিও সব খবরই প্রধান হিসাব রক্ষক লিখে রেখেছেন।…

কলমটা ওর বন্ধু ছিল

জন্মদিনে একটা কলম পেয়েছিল অপু, ঝর্না কলম, নীলাভ কভারে মোড়া। কলমটা ফুরিয়ে আসেনি অন্য আর দশটা কলমের মতো। অন্য কলমের মতো বাঁকা হয়ে আসেনি নিব। অনেক লেখার পরও এক ঝটকায় অনেকটা কালি দিয়ে কালো করেনি হাত কী খাতা। কী সুন্দর গোটা গোটা লেখা দিয়ে মুগ্ধ করেছিলো তাকে! আনন্দে পেরিয়েছিলো পরীক্ষার অনেক কঠিন সময়, প্রিয় কলমের হাত ধরে। অপু ভেবেছিলো, প্রিয়…

ফিরে এলে

“ফিরে এলে সব কিছু আগের মতোই হবে” এমনই তো বলেছিলে, না ? ফিরে এলে সন্তান, সোনার চামচ, অন্নপ্রাশন… “ফিরে এলে, অনুবর্র জমি স্বর্ণ প্রসবা হবে! যজ্ঞস্থলে পুরোহিতও করবে সংকল্প কেবলই আমার নামে!” এমনই তো বলেছিলে, না? হে যজ্ঞ, হোমকুণ্ড, এক চিমটি ঘৃতে যে তোমার তৃপ্তি নেই তা তুমি জানতে; কেন তবু যাগযজ্ঞ যাঞ্চা তোমার? আমার তো এর বেশি ছিল না…

ঘাসফুল খোঁজো গঙ্গাফড়িং

বাগানে গোলাপ ফোটার কথা ছিলো, বাগানের মালি এসেছিলো সন্ধ্যা নাগাদ। কিছু গঙ্গাফড়িং কেঁদেছিলো গোলাপ ফোটাবে বলে। জানতে চাইলাম, তোমার দিঘির ঘাসের ডগায় গঙ্গাফড়িং নাচে, গঙ্গাফড়িং শহীদ হলে তোমার আসে যায় কি? ভরসা করে বরষা শেষে অতিথি তোমার বাড়ির রক্ত দেখে দুঃখ পেলে, তোমার সে দায় নয় কী ? তুমি বললে ঘাসফুল খোঁজো, গঙ্গাফড়িং; গোলাপ নয়! আরো পড়ুন: শিশিরের তৃষ্ণায় উঠোন…

error: Content is protected !!